কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিতে পাড়ছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের ৬৪ শতাংশ মানুষ।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা। গণমাধ্যমটির করা এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপ থেকে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে পরিচালিত এই জরিপে ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। মাত্র ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য আগের চেয়ে খারাপ নিরাপত্তা দিচ্ছে। ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন পরিস্থিতি আগের মতোই আছে।

বাংলাদেশের জনতত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিপের জন্য এক হাজার উত্তরদাতা বাছাই করা হয়। যাদেরকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের তুলনা করতে বলা হয়।

উত্তরদাতাদের মধ্যে মধ্যে ৯২ দশমিক ৭ শতাংশ মুসলিম। উত্তরদাতাদের মধ্যে অর্ধেকের একটু বেশির বয়স ৩৪ বছর বয়সের নিচে। উত্তরদাতাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ শহুরে মানুষ।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যে প্রতিশোধপ্রবণতা দেখা যায় তার বড় এক ধাক্কা গিয়ে পড়ে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী বা হিন্দুদের ওপর। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মী নূর খান বলেন, আমরা দেখেছি, সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। আবার শুধু সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেও তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। পঞ্চগড়ে আহমদিয়াদের আবাসস্থলে আক্রমণ হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা যে বরাবরই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, সেদিকে ইঙ্গিত করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, কোনো সরকার তাদের (সংখ্যালঘু) অধিকার রক্ষার জন্য খুব একটা কিছু করে না।

তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রশাসন, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেন সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থল পাহারা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের একজন সদস্য নূর খান। গণমাধ্যমটিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ আমরা লক্ষ করেছি, সাধারণ মানুষের তরফ থেকে, রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীর তরফ থেকে। এর ফলে দেখা গেছে, পরবর্তী এক মাসের মধ্যেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গভীর রাতে হাসপাতাল ও বিএনপি কার্যালয়ে হামলা

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, যেসব বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

বিয়ের দু’দিন পর স্বামীকে অচেতন করে স্বর্ণের দোকান লুটে চম্পট স্ত্রীর

সিরাজগঞ্জে হঠাৎ ডেঙ্গুর প্রকোপ

নিজের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা মাহমুদ আব্বাসের

আতিফের কনসার্ট ঘিরে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ট্রাম্পকে নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন পুতিন

ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি

চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রসহ যুবদল নেতা মিল্টন গ্রেপ্তার

হঠাৎ করেই বিয়েটা করা, পরিকল্পনা ছিল না : কেয়া 

১০

জুমার দিনে শহীদ সাইফুলের জন্য দোয়া চাইলেন আসিফ নজরুল

১১

কাঁচাবাজারে শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি ফিরছে

১২

ভূমিকম্পে কাঁপল জম্মু-কাশ্মির

১৩

শিশু নুহা-নাবা বাড়িতে ফেরায় আনন্দিত বাবা মাসহ স্থানীয়রা

১৪

বিস্ফোরণে কাঁপল এলাকা, আতঙ্কে টেকনাফবাসী

১৫

ঢাকায় আতিফ আসলাম, রাতে মাতাবেন মঞ্চ

১৬

জায়গা দখলের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

১৭

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ

১৮

সরকার সাহায্য না করলে সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয় : বদিউল আলম

১৯

কালবেলার দুঃখ প্রকাশ

২০
X