চট্টগ্রামের আদালতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে শীর্ষ পর্যায় থেকে নজরদারি করা হচ্ছে এবং পুলিশকে তাদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত পুলিশ ৩০ জনের বেশি গ্রেপ্তার করেছে, তবে হত্যাকাণ্ডে কারা সরাসরি জড়িত এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল, তা এখনও পরিষ্কার করতে পারেনি। এতে পুলিশের প্রাথমিক ব্যর্থতার ইঙ্গিত মিলেছে।
এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খানকে বদলি করা হয়েছে। তার জায়গায় বন্দর জোনের ডিসি শাকিলা সোলতানাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ এই বদলি আদেশে স্বাক্ষর করেন।
এদিন আরও একটি আদেশে বদলি করা হয়েছে সিএমপি দক্ষিণ জোনের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফজলুল কাদের চৌধুরীকে। তার স্থলে সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত পরিদর্শক মো. আবদুল করিমকে নতুন কোতোয়ালি থানার ওসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে আইনজীবীরা। তারা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন, ফলে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
আইনজীবী নেতারা সমাবেশে বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কার্যত নীরব ছিলেন। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে ইসকনের অনুসারীরা আদালত এলাকায় জড়ো হয়ে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। প্রতিবাদ করায় আইনজীবীদের ওপর হামলা করা হয় এবং একপর্যায়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আইনজীবী নেতারা সিএমপি কমিশনারকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, যদি পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিতো, তাহলে এমন একটি ঘটনা ঘটতো না। এটি পুলিশের ব্যর্থতা।
মন্তব্য করুন