দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে যে সম্পদ গড়ে তোলা হয়েছে, তা এখনো কেন বাজেয়াপ্ত করা হলো না, এমন প্রশ্ন তুলে অর্থনীতিবিদ ও শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের যে পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে, তা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে না পারলে কিসের বিপ্লব হলো।
তিনি আরও বলেন, এই সম্পদ কোথায় গেল। এই সম্পদ কেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার অধিগ্রহণ করল না। এ ছাড়া লুণ্ঠনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের ব্যাংক ঋণ আছে, তা সমন্বয়ের জন্য তাদের সম্পত্তি কেন দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিগ্রহণ করা হলো না।
অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যাপিডের আয়োজনে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বাজেটের উন্মুক্ততা নিয়ে জরিপের ফলাফল প্রকাশ শীর্ষক সংলাপটি আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ। আরও বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনোয়ারুল কবির, প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
দেবোপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান সরকার আর্থিক খাতের উন্নয়নে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। তারপরও কেন যেন সাধারণ মানুষের উদ্বেগটা কাটছে না, উদ্দীপনা আছে ঠিকই। এর কারণ হতে পারে, সরকার যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে তার ফল আসতেছেনা, মানুষ অত ধৈর্য্য রাখতে পারছে না, কিংবা আস্থার সংকট হচ্ছে কিনা? বছরের শেষে সরকারকে এসব বিষয়ে মূল্যায়ন দিতে হবে, স্বচ্ছতার জন্য। আস্থা সৃষ্টির জন্য কি করেছি তা বলা যথেষ্ট না, কি করতে চাই তাও বলতে হবে। কারণ ঘটনাবলি খুব দ্রুত ঘটে যাচ্ছে কাজেই মানুষের আস্থা কতদিন থাকবে তা নিশ্চিত নই।
মন্তব্য করুন