পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সদ্য গঠিত পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় এই জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আহাদ সালমান। সমাপনী বক্তব্যে চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ জীবন অতিথিসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
আব্দুল আহাদ সালমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, অত্যন্ত গর্ব ও কৃতজ্ঞতার সাথে আমি আজ চেম্বার অফ কমার্স পর্তুগাল-বাংলাদেশের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আছি। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত করে। বিশেষ করে সেক্রেটারি অফ স্টেট এর অটল সমর্থন এবং উপস্থিতিতে আমাদেরকে সম্মানিত করেছে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেতৃত্ব আমাদেরকে অর্থপূর্ণ সহযোগিতার জন্য অনুপ্রাণিত করে। এছাড়াও অ্যাঙ্গোলান কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতে পারা আমাদের জন্য সম্মানের বিষয়। আপনাদের অংশগ্রহণ লুসোফোন দেশগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান আন্তঃসংযোগকে হাইলাইট করে, একতা এবং ভাগ করে নেওয়া সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে।
তিনি বলেন, অ্যাঙ্গোলার প্রাণবন্ত শহর লুয়ান্ডা থেকে আটলান্টিদা ইনস্টিটিউটের ডিন স্ট্যানিস্লা ব্যারোসকে অনুষ্ঠানে পেয়ে আমরা সৌভাগ্যবান। আপনার দক্ষতা এবং বিশ্বব্যাপী শিক্ষা এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি এই ইভেন্টের জন্য অপরিমেয় মূল্য নিয়ে আসে। ব্রাজিলের চেম্বার অব কমার্সের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল আমাদের সাথে যোগ দেওয়ায় ব্রাজিল এবং পর্তুগালের মধ্যে সহযোগিতার সেতুকে শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশা করি।
এছাড়াও আব্দুল আহাদ সালমান লিসবন জেলা সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি ডাঃ জোয়াকুইন ফেরেইরা, পর্তুগিজ সরকারের উপদেষ্টা পাওলো নুনেস, চেম্বারের আইন উপদেষ্টা ডা. আলেকজান্দ্রে ক্যাটানো, আগা খান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সার্জিও অলিভেরা এবং জোয়াও কুইরোজ, ইউনেস্কো এবং ওএনইউ-এর প্রতিনিধি প্রফেসর ডেভিড মায়া হিন্দু সম্প্রদায় থেকে আসা প্রতিনিধিদলসহ অতিথিদেরকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, এই চেম্বার একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি; এটি একটি সেতু যা জাতি, সংস্কৃতি এবং শিল্পকে একত্রিত করে। এটি অংশীদারিত্বের চেতনাকে মূর্ত করে এবং উদ্ভাবন, সংলাপ এবং বৃদ্ধির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে। একসাথে আমরা এমন সুযোগের পথ প্রশস্ত করব, যা কেবল পর্তুগাল এবং বাংলাদেশ নয়, আমাদের বর্ধিত বিশ্ব সম্প্রদায়কেও উপকৃত করবে।
চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে পর্তুগিজ সরকারের উপদেষ্টা পাওলো নুনেস, লিসবন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি ডাঃ জোয়াকুইন ফেরেইরা, ব্রাজিলের চেম্বার অব কমার্সের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল, অ্যাঙ্গোলান কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল, লুয়ান্ডার আটলান্টিদা ইনস্টিটিউটের ডিন স্ট্যানিস্লা ব্যারোস, আগা খান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদলসহ বাংলাদেশ ও পর্তুগালের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন