আকাশ থেকে ভূমিতে গোলাবর্ষণ মহড়া-২০২৪ (এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট) পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। বুধবার টাঙ্গাইলের রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এই মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা প্রদর্শন এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে উপস্থিত থেকে মহড়ার বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। মহড়া চলাকালে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্যান্য সদস্যগণ উক্ত মহড়ায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এই প্রদর্শনীর প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা প্রদর্শন করা এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। মূলত এ মহড়ার মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকরী যুদ্ধ সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকসমূহ নির্ণয় করতঃ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়, যা ভবিষ্যতে আরোও উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বিদ্যমান যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান এবং হেলিকপ্টার সমূহ অংশগ্রহণ করে। মহড়ার উল্লেখ্যযোগ্য অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর চৌকস বৈমানিকগণ আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশলসহ যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে আক্রমণ, আকাশ হতে শত্রু কবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ এবং স্পেশাল অপারেশনসহ সকল ধরনের রণকৌশল অনুশীলন করে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে বিমান বাহিনীর মিগ-২৯বি/ইউবি, এফ-৭/এফটি-৭ এবং কে-৮ডব্লিউ যুদ্ধবিমানগুলি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাদের নির্ভুল আক্রমণ ক্ষমতা এবং তৎপরতা প্রদর্শন এবং শত্রুর ব্যুহ ভেদ করে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু সমূহ নির্মূল করে। এএন-৩২ পরিবহন বিমান রশদ সরবরাহ, কার্গো ড্রপ ও এয়ারলিফ্ট অপারেশন পরিচালনা করে। এছাড়াও এমআই-১৭, এডব্লিউ-১৩৯ এবং বেল-২১২ হেলিকপ্টারগুলি আকাশ হতে ভূমিতে গোলাবর্ষণ, ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
আইএসপিআর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন, যা বাংলার আকাশকে শত্রু বিমানের আক্রমণ হতে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বৈমানিকদের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া এই মহড়ার মাধ্যমে বৈমানিক এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোলাররা নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং যুদ্ধাস্ত্র দ্বারা নির্ভুল ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। যদিও বিমান বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে আকাশকে শত্রু বিমানের আক্রমণ হতে প্রতিরক্ষা, তবে অন্যান্য বাহিনীকে ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট প্রদান করাও অপরিহার্য কাজগুলোর মধ্যে একটি।
মন্তব্য করুন