একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) অধ্যাপক আলী রিয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে অনলাইনে বাংলাদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পক্ষে এসব প্রস্তাবনা দিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবনায় বিদ্যমান সংবিধানের প্রস্তাবনা হুবহু বহাল রাখার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে ঐক্য পরিষদ বলেছে, এ প্রস্তাবনা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করে।
প্রস্তাবনায় সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদ হুবহু বহাল রাখার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে পরিষদ বলেছে, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন অপরিহার্য। এতে বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জনজীবনে ও সমাজে বিরাজমান বৈষম্য দূর করা এবং আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’ হওয়ার ক্ষেত্রে এ প্রস্তাবনাগুলো সংবিধানে যুক্ত হওয়া অত্যাবশ্যক।
এছাড়া সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদের পর (৫) অনুচ্ছেদ হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যেমন- বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশনসহ সব ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব ও অংশীদারিত্ব সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করার পাশাপাশি (৬) অনুচ্ছেদ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিতের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন