নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা যথেষ্ট নয়। সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সহিংসতা প্রতিরোধ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। তিনি কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউসেপ বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত সেইফগার্ডিং পলিসির কার্যকর বাস্তবায়নের প্রশংসা করেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ইউসেপ বাংলাদেশ প্রধান কার্যালয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চাকরি মেলা ২০২৪ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী, সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গেস্ট অব অনার ছিলেন কানাডিয়ান হাইকমিশন ডেভেলপমেন্ট (এডুকেশন ও স্কিলস) ফাস্ট সেক্রেটারি জো ম্যাকিনটোস। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবদুল করিম।
ড. মো. আবদুল করিম বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এ সমস্যার সমাধানে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নই হতে পারে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান।’
বক্তারা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। নারীর অধিকার রক্ষা ও সহিংসতামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার জন্য শুধু আইন প্রণয়ন যথেষ্ট নয়, বরং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও জরুরি।
অনুষ্ঠানে ইউসেপ বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে সফল নারীদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। তারা তাদের জীবনের গল্পের মাধ্যমে সহিংসতা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্যের পথে নিজেদের অর্জনের কথা শেয়ার করেন। ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও সহিংসতা প্রতিরোধের বার্তা বহন করে।
মন্তব্য করুন