নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা নির্মূলে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সম্পত্তির অধিকার, সন্তানের অভিভাবকত্ব এসব ক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করা, অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন করা। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন ও যথাযথ প্রয়োগের উপর গুরুত্ব দেওয়াসহ সব শ্রেণির নাগরিক এবং তরুণ প্রজন্ম বিশেষত ছাত্র সমাজের ভূমিকা শক্তিশালী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।
সোমবার (২৫ নভেম্বর ২০২৪) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ‘পারিবারিক আইনে সমতা আনি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করি’ এই স্লোগানের আলোকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক এ ঘোষণা দেন।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০২৪ পালন উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে সমবেতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে র্যালি শুরু হয়।
পুরানা পল্টন মোড়ে এসে র্যালি শেষ হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, জেন্ডার সমতাপূর্ণ মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, বহুবিবাহ, যৌন হয়রানি, খুন, ধর্ষণ, নারীর প্রতি অধস্তন ও পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, নারীবান্ধব আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ না করতে পারা, বিচারিক কাজে দীর্ঘসূত্রতার ফলে নারী উন্নয়ন তথা দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা কেবল নারীর জীবনকেই বিপন্ন করে না বরং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক অগ্রগতিতে বাধা প্রদান করে। তিনি নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের পাশাপাশি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন