চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন রেলওয়ের অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকরা। স্মারকলিপিতে তারা বলেছেন, ‘আমাদের বাঁচান-আমাদের পরিবার বাঁচান-রেল বাঁচান’।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই স্বারকলিপি জমা দেন।
একই দাবিতে তারা রেলমন্ত্রী, রেল সচিব ও রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল রেল ভবনে গিয়ে মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওই সময় মন্ত্রী রেলওয়ের এই শ্রমিকদের আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয়মাস চাকরির মেয়াদ বাড়নোর ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তাদের চাকরি স্থায়ী করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আলোচনা করবেন বলেও আশ্বাস দেন। কিন্তু মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পরেই রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলপি জমা দেন।
স্মারকলপিতে শ্রমিকদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মোহাম্মদ হোসেন, শাওন, সাদ্দাম হোসেন, আবু হাসান ও স্বপন সরকার।
স্বারকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন কাজ করে দক্ষতা অর্জনের পর বিভিন্ন সময়ে কোনো প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়া আমাদের অসংখ্য শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়। গত কয়েকমাস আগে রেলওয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত বেশকিছু শ্রমিককে ছাঁটাই করায় তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কর্তৃপক্ষ একটু চেষ্টা করলে তাদের অন্য স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করাতে পারত। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বর্তমানে দক্ষ শ্রমিকদের বাদ দিয়ে আউটসোর্সিং সেবা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এ কারণে সাত হাজার শ্রমিক পথে বসতে যাচ্ছে।
রেলওয়ে কারিগরি ও মেকানিক্যাল অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, এখানে ঠিকাদারের মাধ্যমে নতুন অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ হলে ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হবে এবং ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তাই স্বাভাবিক রেল পরিচালনার স্বার্থে অউটসোর্সিং নীতিমালা-২০২৮ এর ৩নং ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে রেল আউটসর্সিং মুক্ত থাকতে পারে এবং প্রচলিত টিএলআর প্রথা বহালের মাধ্যমে হাজার হাজার শ্রমিক সুখে থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন