কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

বাঁ থেকে কেলি এম ফে রজরিগেজ ও ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি। ছবি : সংগৃহীত
বাঁ থেকে কেলি এম ফে রজরিগেজ ও ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি। ছবি : সংগৃহীত

চার দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেন প্রশাসনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। এ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রজরিগেজ এবং শ্রম বিভাগের পক্ষে ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় পৌঁছে শ্রমিকের কাজের পরিবেশ নিয়ে শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এ ছাড়া সরকারি প্রতিটি পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের গার্মেন্টস উৎপাদক এবং শ্রমিক ইউনিয়ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের সর্বোত্তমভাবে কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবে।

এই সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান, সেই সঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধির উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেবে।

এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশে টেকসই অর্থনীতি, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থবহ ও মানসম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এ সফর করার কথা জানান তারা।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মার্কিন রাজনীতিতে ডেমোক্র্যাটদের শ্রমিকবান্ধব হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। দলটি শুধু নিজ দেশেই নয়, ক্ষমতায় থাকলে বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকে। এ কারণে শ্রমিকদের ভোট ডেমোক্র্যাটদের দিকে বেশি যায়। ২০২০ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও শ্রম অধিকারকে ভিত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের মালিকবান্ধব সরকার হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। এ দলটিই মালিকদের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম-সংগঠনবিরোধী আইন প্রণয়ন করে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শ্রম বিষয়ে যে পরিমাণ সোচ্চার ছিল, ট্রাম্প সরকার গঠনের পর এ বিষয়ে অতটা নজর থাকবে না। তবে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এতে ডেমোক্র্যাটরা ভবিষ্যতে দেখাতে পারবে, সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত দলটি শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেহেরপুর ইসলামী আন্দোলনের উর্বর ভূমি : গোলাম পরওয়ার

রেলপথ যেভাবে পাল্টে দিয়েছে সময়ের ধারণা

‘সেন্টমার্টিনে নিষেধাজ্ঞা পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না’

‘মুডিসের প্রতিবেদনে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই’

সব টেলিভিশনে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র প্রচারের নির্দেশ

‘বিপ্লব-পরবর্তী দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যের বিকল্প নেই’

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে : আহমদ আবদুল

ম্যানেজার নেবে বিকাশ, থাকছে না বয়সসীমা

জলবায়ু সম্মেলন / স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ২০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দে ইইউর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৩ নেতাকর্মী আহত

১০

মালয়েশিয়ায় অবৈধ বসবাস, বাংলাদেশির জেল

১১

শহীদ জিয়া প্রথম বৈষম্যের শিকার : ডা. জাহিদ

১২

ভিয়েতনামে বাংলাদেশিদের জন্য ‘ই-পাসপোর্ট’ সেবা চালু

১৩

‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে’

১৪

নির্বাচনে আসন সংরক্ষণ ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি হিন্দু মহাজোটের

১৫

‘তুমি বাড়ি যাও, আমি আসছি’ স্ত্রীকে শেষ কথা শহীদ জামালের

১৬

গুরুতর অসুস্থ পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল

১৭

ভারতবিরোধিতা প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করলেন জামায়াত আমির

১৮

‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগিতা’- বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

১৯

ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

২০
X