জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের চেয়ারপারসন, স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্য সবাই একযোগে ৭ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। এর ফলে বর্তমান কমিশন নেতৃত্বশূন্য অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর সংস্কার সাধন করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যকর ভূমিকা, স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক বাছাই ও নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং কমিশনের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে কমিশনের সদস্যদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে জরুরি ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠনে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে এইচআরএফবি।
সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সব জনগণ এবং মানবাধিকার কর্মীদের আশ্রয়স্থল হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে কমিশন বরাবরই তার যথাযথ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থতার পেছনে নানা সময়ে নানা বিষয়কে দায়ী করা হলেও যে দুটি বিষয় এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে একটি হলো ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্য রয়েছে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ, বিশেষত প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ, অন্যটি হলো কমিশন আইনে বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা। একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর কমিশন গড়ে তোলার জন্য আইনে বর্ণিত বাছাই কমিটিকে ঢেলে সাজানো-বাছাই কমিটিতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুসহ সমাজের বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কাজ করছে এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা। প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষায় কেমন কমিশন গঠিত হওয়া প্রয়োজন তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করা। জনমতের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতীয় মানবাধিকার আইন-২০০৯ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি মানবাধিকার ও সমতাভিাত্তক রাষ্ট্র গঠনে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অত্যাবশ্যকীয়। আর তা কেবলই সম্ভব স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন গঠন এবং যে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি বিস্তৃত ও সুনির্দিষ্ট এখতিয়ার প্রদানের মাধ্যমে।
মন্তব্য করুন