কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দখল-আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি এখনো চলমান : টিআইবি

দখল-আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি এখনো চলমান : টিআইবি

প্রতিটি ক্ষেত্রে দখল ও আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি এখনো চলমান বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘নতুন বাংলাদেশ : কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী ১০০ দিনের পর্যবেক্ষণ’ প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি তাদের গবেষণাপত্রে এ তথ্য উল্লেখ করে। গবেষণাপত্র পাঠ করেন সংস্থার প্রধান গবেষক শাহজাদা এম আকরাম।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ায় একদিকে রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক এবং সামাজিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার অভূতপূর্ব সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার বহুমাত্রিক ভিত্তি ও অংশীজনের ভূমিকা রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সরকারের চলার পথে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি রয়েছে উল্লেখ্য করে টিআইবি জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বাস্তবায়নে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কৌশল ও রোডম্যাপ প্রণয়নের সুযোগ নেওয়া হয়নি, যা এখনো অনুপস্থিত।

টিআইবি জানায়, বিচার ও সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক আছে। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অ্যাডহক প্রবণতা, উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও দায়িত্ব বণ্টনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হয়েছে। প্রশাসন পরিচালনায় সরকারের দক্ষতা ও কর্মপরিকল্পনার ঘাটতি লক্ষ্য করা যায় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারে দায়িত্বশীলদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকাশ পেয়েছে।

টিআইবির গবেষণায় বলা হয়, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে দখল ও আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি এখনো চলমান। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ও দলীয়করণের পরিবর্তে আরেকটি গোষ্ঠীর প্রতিস্থাপন/ হাতবদল হয়েছে বলে লক্ষ্য করা যায়। রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের পক্ষ থেকে সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়ার প্রশ্নে ধৈর্যের ঘাটতি লক্ষণীয় বলেও টিআইবি তাদের গবেষণাপত্রে উল্লেখ করে।

সংস্থাটি থেকে বলা হয়, পটপরিবর্তনের পর গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ও হুমকি-হামলাসহ কোনো কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করার তৎপরতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। সহিংসতা ও বলপ্রয়োগের কারণে জেন্ডার, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

টিআইবির গবেষণায় বলা হয়, ভারত কর্তৃক কর্তৃত্ববাদ পতনের বাস্তবতা মেনে নিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকারে ব্যর্থতা ও তার কারণে অপতৎপরতার ফলে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনে সরকার ও দেশের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে।

টিআইবি আরও জানায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মনোভাব ইতিবাচক। তারপরেও প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সহায়তা, বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফ এর মতো সংস্থার ঋণ সহায়তা-সংশ্লিষ্ট শর্তাবলি, বিশেষ করে ইতোমধ্যে সুদসহ ঋণ পরিশোধের অতিরিক্ত দায় সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে কমিশন গঠন

পর্যটকদের জন্য বান্দরবানে ছাদখোলা বাস

শ্রীলঙ্কার ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হরিনি আমারাসুরিয়া

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এবি পার্টির ১০ দফা সুপারিশ

১১ সদস্যের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন

টেকনাফে দুপক্ষের গোলাগুলিতে যুবক নিহত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচের সাক্ষাৎ

স্বর্ণখনি ঘিরে রেখে অপেক্ষা করছে পুলিশ, ভেতরে কয়েকশ শ্রমিক

পা‌কিস্তানের হাইক‌মিশনারের সেল‌ফিতে আসিফ মাহমুদ

আ.লীগ নেতার রাইস মিলে অভিযান, গ্রেপ্তার ২

১০

অবরোধ প্রত্যাহার করলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা 

১১

কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না : গভর্নর

১২

পুলিশের হাত থেকে পালানো আসামির আদালতে আত্মসমর্পণ

১৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় রিচ বাড়াতেই চেন্নাইয়ের রহস্যজনক পোস্ট!

১৪

সুরক্ষিত ১০০ বল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট / চট্টগ্রাম টাইগার্স ও ডিসেন্ট বয়েজের জয়জয়কার 

১৫

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৩তম ব্যাচের ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠিত

১৬

টেকনাফে বিপুল ইয়াবা জব্দ

১৭

অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রমে প্রবেশ করল চবি

১৮

দেশের মাটিতেই পড়ল ইসরায়েলের মিসাইল

১৯

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের হামলায় আহত একাধিক ট্রেনযাত্রী

২০
X