কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন পলক

হাতজোড় করে দোয়া চাচ্ছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি : কালবেলা
হাতজোড় করে দোয়া চাচ্ছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি : কালবেলা

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।

ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিদের অনেককেই হাসি মুখে দেখা যায়। তবে এর মধ্যে হাতজোড় করে দোয়া চাইতে দেখা গেছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়।

এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান।

গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ একশর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে।

এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০১৫ সালের পর থেকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অনেকটা গতি হারিয়ে ফেলে। তবে হাসিনা সরকার পতনের পর ফের ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪৬তম বিসিএসের প্রিলি কেন বাতিল হবে না, হাইকোর্টের রুল 

শেখ হাসিনার নতুন অডিও ফাঁস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫০

বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল মা-ছেলের

পুলিশ ভেরিফিকেশনে থাকছে না রাজনৈতিক বিবেচনা

স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে কমিশন গঠন

পর্যটকদের জন্য বান্দরবানে ছাদখোলা বাস

শ্রীলঙ্কার ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হরিনি আমারাসুরিয়া

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এবি পার্টির ১০ দফা সুপারিশ

১১ সদস্যের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন

১০

টেকনাফে দুপক্ষের গোলাগুলিতে যুবক নিহত

১১

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচের সাক্ষাৎ

১২

স্বর্ণখনি ঘিরে রেখে অপেক্ষা করছে পুলিশ, ভেতরে কয়েকশ শ্রমিক

১৩

পা‌কিস্তানের হাইক‌মিশনারের সেল‌ফিতে আসিফ মাহমুদ

১৪

আ.লীগ নেতার রাইস মিলে অভিযান, গ্রেপ্তার ২

১৫

অবরোধ প্রত্যাহার করলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা 

১৬

কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না : গভর্নর

১৭

পুলিশের হাত থেকে পালানো আসামির আদালতে আত্মসমর্পণ

১৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় রিচ বাড়াতেই চেন্নাইয়ের রহস্যজনক পোস্ট!

১৯

সুরক্ষিত ১০০ বল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট / চট্টগ্রাম টাইগার্স ও ডিসেন্ট বয়েজের জয়জয়কার 

২০
X