ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী মুক্ত বাংলাদেশে ঢোল বাদ্য বাজিয়ে নাট্য সংগঠক, নাট্যকার, নির্দেশক, কবি, নৃত্য সংগঠক, সংগীতশিল্পী ও সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখার শিল্পীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে বাংলাদেশ থিয়েটারের ৩৮ বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণে এ বর্ষপূতি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খন্দকার শাহ আলম।
আনন্দমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ থিয়েটারের তিন দিনব্যাপী (১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠানে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল আজীজ বলেন, আমাদের শিল্পী সংকট, আর্থিক সংকটসহ নানা সংকট রয়েছে। এরপরও নতুন শিল্পীদের নিয়ে আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি।
স্বাগত বক্তব্যে খন্দকার শাহ আলম বলেন, আপনাদের সবাইকে এই তিন দিন আমাদের পাশে চাই। আপনারাই আমাদের শক্তি। আপনারাই আমাদের পথচলা। থিয়েটার এমন একটি কাজ যেখানে সামনে কী হবে, কী আমাদের প্রাপ্তি, এটা কিন্তু আগে থেকে জানি না। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ভালোবাসা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে পারব। সুলতান মাহমুদের পরিচালনায় শিশু নৃত্যশিল্পীরা দলীয় নৃত্য পরিবেশন ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ থিয়েটারের সভাপতি অভিনেতা আব্দুল আজীজ, মুন্সী আবু হারুন টিটো, তপন হাফিজ, মফিজুর রহমান লালটু, মতিউর রহমান রানা, কবি শিরিন বেগম, ড. চঞ্চল সৈকত, মতিউর রহমান রানা, কবি লিলি হক, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, জহিরুল হক, মো. মোশাররফ হোসেন, মাহবুব আলম, খন্দকার আনোয়ার, শওকত হাসান, সুমি চৌধুরী, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা ৭টায় নাটক ‘সি মোরগ’-এর ৩০২তম শো প্রদর্শিত হয়। নাটকটি রচনা করেছেন আসাদুল্লাহ ফারাজী এবং নির্দশনা দিয়েছেন হুমায়ূন কবির।
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনি ও রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। শনিবার প্রদর্শিত হবে ‘সিরাজ যখন নবাব সিরাজদ্দৌলা’ রোববার সমাপনী দিনে খন্দকার শাহ্ আলমের একক অভিনয়ের ‘আমি’ নাটকের প্রদর্শনী হবে।
মন্তব্য করুন