গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে (সিআইআই) পাইরেটেড সফটওয়্যারের পরিবর্তে আসল বা পেইড সফটওয়্যার ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (৮ আগস্ট) দুপুরে আইসিটি টাওয়ারে সিআইআই সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আগামী ১৫ আগস্ট সাইবার হামলার হুমকি মোকাবিলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সঙ্গে সিআইআই তালিকাভুক্ত সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাইবার হামলার হুমকি এবং সরকার ঘোষিত ২৯টি সিআইআই সমূহের সাইবার নিরাপত্তার সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনা ও বিগত ২৪ জুলাই সবশেষ অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে বিদ্যমান ‘ব্যাকডোরে’র মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য চুরির ঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু তৈরি হচ্ছে। এ জন্য অর্থ ব্যয় হলেও পাইরেটেড বা ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহারের পরিবর্তে আসল সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
এমন প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং সবাইকে আসল বা পেইড সফটওয়্যার ব্যবহারের বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেন পলক।
এ ছাড়াও প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে সাইবার নিরাপত্তায় ল্যাব স্থাপনের তাগিদ দিয়ে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে আজকের সভায়।
আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সভায় সাইবার নিরাপত্তা জোরদারকরণের লক্ষ্যে প্রতিটি সিআইআই প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট), সিকিউরিটি অপারেশন্স সেন্টার (সক) এবং নেটওয়ার্ক অপারেশন্স সেন্টার (নক) গঠনে ন্যূনতম জনবলের পরিমাণ এবং তাদের যোগ্যতার বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রত্যেক সিআইআইকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেমে পাইরেটেড বা ক্র্যাক তথা নকল সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। এসব নকল সফটওয়্যার ব্যবহারে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে বলে বিভিন্ন সময় সতর্ক করে আসছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন