কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হুইলচেয়ার নিয়ে রাস্তায় আহতরা, অপেক্ষা উপদেষ্টাদের জন্য

নিটোর হাসপাতালের সামনে আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের আন্দোলন। ছবি : সংগৃহীত
নিটোর হাসপাতালের সামনে আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের আন্দোলন। ছবি : সংগৃহীত

কেউ আছেন হুইলচেয়ারে, আবার কেউ ভাঙা পা নিয়েই একটি চেয়ার পেতে বসে আছেন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় এভাবে অন্দোলন করছেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় আহত ব্যক্তিরা। তারা নিটোর হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আন্দোলনরত আহত ব্যক্তিদের ভাষ্য, উপদেষ্টারা না আসা পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না এবং হাসপাতালের ভেতরে ফিরেও যাবেন না।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে নিটোরের সামনের রাস্তা বন্ধ করেন আহতরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে তারা রাস্তায় অবস্থান করছেন।

আগারগাঁও থেকে শ্যামলী ও শ্যামলী-আগারগাঁও উভয়মুখী সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সড়কে তারা অবস্থান নেওয়ার কারণে সড়কে হাসপাতালটির অংশ দিয়ে জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি যাতায়াত করতে পারছে না।

জানা গেছে, বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম নিটোর পরিদর্শনে যান। তারা চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে ঘুরে দেখেন। সেখানে ছিলেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের একাংশের আহতরা, বাকিরা ছিলেন তৃতীয় তলায়। কিন্তু তৃতীয় তলার ওয়ার্ডে পরিদর্শন না করায় সেখানে থাকা চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পরে তারা নিচে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন। ধারণা করা হচ্ছিল গাড়িটি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ব্যবহার করতেন। কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ব্রিটিশ হাইকমিশনারের গাড়িতে উঠে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। তবে বিষয়টি বুঝতে পারেননি আহতরা। তারা আগের গাড়িটি ও পুলিশের একটি প্রোটোকল গাড়ি আটকে দেন। এরপর তারা দুপুর সোয়া ১টার পর রাস্তায় আসেন।

এমন পরিস্থিতি তখন শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ সদস্যরা সামাল দিতে পারেননি। পরে র‌্যাব-২ এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারপর দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনীর ৫টি ইউনিট হাজির হয়। কিন্তু কোনো বাহিনীর সদস্যরাই আহত আন্দোলনকারীদের থামাতে পারেননি। পরে ধীরে ধীরে সবাই চলে যান। বর্তমানে পুলিশের কিছু সদস্যকে সেখানে মোতায়েন রাখা আছে।

এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী মো. হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের একেকটা ওয়ার্ডে ৪৮ জন মানুষ আছে। কিন্তু উনারা উনাদের পছন্দের বিদেশি পাঁচজন সাংবাদিক নিয়ে এসেছেন এবং আমাদের দেশীয় সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা দু-একজনের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। আমরা কথা বলতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামান্য চিকিৎসা দিয়ে তিন মাস বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমার পায়ে ৯টি অপারেশন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হতে পারিনি। আমাদের শুধু অপারেশনে নিয়ে যায়। আমরা চাই তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। আমাদের জন্য ঘোষণা করা সেই এক লাখ টাকা দিক এবং ভালো মানের চিকিৎসা দিক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবি শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

সিওয়াইবি সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ কলেজ শাখার সভাপতি কেডি, সম্পাদক হৃদয়

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎ

হাতি রাখার জায়গা নাই, দুই মাহুতকে ছেড়ে দিল পুলিশ

হত্যা মামলায় তোফায়েল আহমদের ভাতিজা মুকুল কারাগারে

আখক্ষেতের পাশে পড়ে ছিল অটোচালকের গলাকাটা লাশ

ময়মনসিংহে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক

সিওয়াইবি চবি শাখার নতুন সভাপতি রেদওয়ান, সম্পাদক হাছান মাহমুদ

বাংলাদেশ-আজারবাইজান সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি

হত্যা মামলায় হাজি সেলিমের ছেলে সোলায়মান সেলিম কারাগারে

১০

সব শ্রম সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

১১

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের তালিকায় আরও এক নাম

১২

ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে প্রবাসীদের সহযোগিতা অপরিহার্য : শফিকুর রহমান

১৩

ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু অপপ্রচারে লিপ্ত : খেলাফত মজলিস

১৪

ফের বোমাতঙ্ক, ১৯৩ আরোহী নিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ

১৫

পরিচয় মিলেছে লেকের পানিতে থাকা খণ্ডবিখণ্ড লাশের

১৬

গাজার যোদ্ধাদের শাস্তি দিতে ফিলিস্তিনের আরও ভূমি দখলের প্রস্তাব

১৭

চালের দাম কবে কমবে জানালেন খাদ্য উপদেষ্টা

১৮

ফুটবলেও আসছে ডিআরএস?

১৯

নরসিংদীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ট্রেনের নিচে যুবক

২০
X