চিকিৎসক সেজে প্রতারণার দায়ে রাজধানীর ডেমরায় থেকে জয়নুল আবেদীন জয় ওরফে মো. আরিফ হাসান (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় রাজধানীর মাতুয়াইলের হাজি বাদশা মিয়া সড়কের নিউ টাউন আবাসিক এলাকায় ফেইথ পয়েন্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরিফ হাসান মাদারীপুরের শিবচর থানার কাহেরতলা ইউনিয়নের সুতারপাড়া গ্রামের মৃত মজিদ বেপারির ছেলে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার জয়নুল আবেদীন রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় ফেইথ পয়েন্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সেইফ ফার্মাসহ আরও কয়েকটি হাসপাতাল ও কনসালটেন্সি ফার্মের মালিকদের যোগসাজশে চার বছর ধরে চিকিৎসক পরিচয়ে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এ জন্য তিনি ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনেসথেশিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিসক মো. আরিফ হোসেনের নাম ও তার সনদ (বিএমডিসি রেজি. নম্বর এ-৮১৯৮৩) ব্যবহার করে আসছেন। এ ছাড়া জয়নুল রোগীদের কাছে এমবিবিএস (ঢাকা); এমএস অর্থোপেডিক সার্জারি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়; হাড় জোড়া, পঙ্গু, বাতরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন উপাধি ব্যবহার করে আসছে।
গত ২৬ অক্টোবর এনাম মেডিকেল কলেজের প্রকৃত চিকিৎসক মো. আরিফ হাসান ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন যে তার সনদ নম্বর ব্যবহার করে ডেমরায় এক ব্যক্তি চিকিৎসক সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। পরে তিনি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোয় খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি মামলা করলে ওই রাতেই পুলিশ জয়নুলকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেইথ পয়েন্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মো. মেহেদী কালবেলাকে বলেন, আমরা হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছি মাত্র আট মাস হলো। এর আগে যে মালিকের ছিল, তখন থেকেই জয়নুল এখানে মাঝেমধ্যে রোগী দেখত। আমরা তাকে আসল ডাক্তার হিসেবেই জানতাম। কিন্তু সে তার পরিচয় গোপন রেখে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অন্য চিকিৎসকের সনদ নকল করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। এ বিষয়ে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী আসল চিকিৎসক গতকাল রাতে মামলা করেন। পরে প্রতারক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন