অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন তিন জনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও বিতর্ক চলছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেপ্তার করার নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বশির-ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা চরম ফাইজলামি। এগুলা ভণ্ডামি। আপনেরা হাসিনা হয়ে উঠার চেষ্টা কইরেন না। হাসিনারেই থোরাই কেয়ার করছি, উৎখাত করছি। আপনেরা কোন হনু হইছেন?’
এর আগে, বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চাই আপনারা দ্রুত তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ছাত্র-নাগরিকদের অংশগ্রহণ ছাড়া যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তা মেনে নেওয়া হবে না। দ্রুত এই সিদ্ধান্তের সমাধান চাই।’
তিনি বলেন, ‘যারা ধানমন্ডি ৩২ কে কাফেলা মনে করে তাদেরকে উপদেষ্টা নিয়োগ করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবন দিয়েছে। তারা বিপ্লব করেছে রাষ্ট্রের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য। কিন্তু শিক্ষার্থীদের রক্তকে পুঁজি করে, শ্রমিকের রক্তকে পুঁজি করে, সাধারণ মানুষের রক্তকে পুঁজি করতে আপনারা যদি মনে করেন উপদেষ্টা হবেন, পদ বাগিয়ে নেবেন তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন।’
রোববার (১০ নভেম্বর) সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন মাহফুজ আলম, সেখ বশিরউদ্দীন এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই নিয়োগের পর উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি বিএনপি ও অন্যান্য দলের কর্মী-সমর্থকরাও সেখ বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ বিষয়ে বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজের গতি ও দক্ষতা বাড়াতে এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে নতুন উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে কাজের চাপ কমাতে এবং কার্যক্রমে গতি আনতে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় নিয়োগ করা হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রসারণের ফলে সরকারের কাজের গতি বাড়বে।
মন্তব্য করুন