অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হতে যাচ্ছেন আর তিনজন। এ ছাড়াও দুজনকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপদেষ্টা তিনজন হলেন- ১. সেখ বশিরউদ্দিন, ২. মো. মাহফুজ আলম, ৩. মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারে দুজন নতুন মুখ হলেও মাহফুজ আলমের মুখ পরিচিত। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ছিলেন তিনি।
গত ২৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে মাহফুজ আলমকে নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
মাহফুজ আলমের নিয়োগের পর থেকেই সবার মনে প্রশ্ন, কে এই মাহফুজ আলম? ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সেভাবে আলোচনায় না থাকলেও হঠাৎ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হয়ে যাওয়ায় তাকে নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
মাহফুজ আলমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর উপজেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইসাপুর গ্রামে। পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। এছাড়া ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির তাত্ত্বিক নেতা হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত তিনি।
মাহফুজ আলমের প্রথম আলোচনায় আসেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর। এর কিছুদিন পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হয়ে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে নতুন রাজনৈতিক সংগঠন খোলাসহ গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রাখা, সরকারকে সংহত করা, রাষ্ট্র ও সমাজের নানা অংশীজনের সঙ্গে বলে আগামী বাংলাদেশের রূপরেখা তৈরির কথা জানান।
ওই সাক্ষাৎকার আরও বেশি আলোচিত হয়, তার বক্তব্যে ভুলভাবে মিডিয়ায় আসায়। পরে এ নিয়ে হয়েছে অনেক আলোচনা-সমালোচনা।
উল্লেখ্য, চার দফায় শপথগ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।
পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
এরপর গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও চার উপদেষ্টা শপথ নেন। তারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।
মন্তব্য করুন