‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। তাদের এই কর্মসূচির প্রতিহত করতে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সেই গণজমায়েতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কবিতাটি আবৃত্তি করেন তিনি।
কালবেলার পাঠকদের জন্য কবিতাটি তুলে ধরা হলো-
এতদিন যাহাদের বলিয়াছি ছাগু
তাহারা অফিস জুড়ে করিতেছে হাগু
জিতিয়া গিয়াছে নাকি
প্রিয় ট্রাম্পকাগু
ফালুদা বানাই তাই
বেশি দিয়া সাগু
দৌড় খায়া জনতার
পলাই ভারতে
তারাতো আগুন দিলো
টাকার আড়তে
কই বাপ এস আলম
কই আনভীর
কইরে মজুমদার
আলি আরাফাত
গর্দভ হাচানটা আছে বেলজিয়াম
ক্ষমতা চলিয়া গেলে ফুটো কড়ি দাম
এখন থাবড় দেয় যদু মধু শাম
ডুবায়া ছেড়েছি আমি বাপের সুনাম
চুরি ধারি বাটপারি
ভুলিতে কি আমি পারি
জাবেদের হাজার বাড়ি
পিয়নের কাঁড়ি কাঁড়ি
এত টাকা ফেলিয়া
দেখি চোখ মেলিয়া
আমি কেন অসহায়
এই খেলা বোঝা দায়।
ডাক দেই জনতায়
আসো করি সমাবেশ
কতো করি টেলিফোন
পুছে না আমার দেশ
আমি মহারানি চোর
একদিন হবে ভোর
সেই ভোরে আসিবো ফিরে
চট করে খুলে দোর
তবু আমি বুঝি না
খুঁজি তাই উত্তর
এত চোর পেলে তবে
কি পেলাম - ধুত্তোর
আমাকে বুঝায়ে বলো
ইউনুস কাগু
যেখানেতে শুয়ে থাকে
সেখানেই হাগু?
ট্রাম্পের ছবি নিয়ে
আসিতেছি মিছিলে
এইবার বুঝিবেই
বুবুজান কি ছিলে
বাপ ভাই পরিবার
নাই কোন ছবিতে
ট্রাম্প কাকু আছে তাই
টাকা দেই Lobby তে।
ডুবাইয়া বাবা কে
ডুবাইয়া দল
আয় ভাই কাছে আয়
আপা আপা বল
আরো খাওয়া বাকি আছে
হয় নাই শেষ
রিজার্ভ মারিয়া দিয়া
শেষ করে দেশ
আমি বড় ক্লান্ত
হই নাই শান্ত
টাকাটুকা কই আছে
আরো কিছু আন তো
কি সব হাবি জাবি
ভোটফোট একাকার
আমি তো চোরের রানি
তোরা সব রাজাকার
আমি জপি মন্ত্র
যতো হাবিজাবি যে
স্বৈরাচারের জয়
ট্রাম্প মোদি তাবিজে
দিন বদলাবো তাই
করি সব ডিজিটাল
স্মার্ট হতে গিয়ে
হলো মোর এই হাল।
ইতিহাসে অক্ষয়
হবো আমি ঠিক ঠাক
গণতন্ত্র নিপাত যাক
স্বৈরাচার মুক্তি পাক।
কবিতাটি লিখেছেন আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
মন্তব্য করুন