আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরে কমপক্ষে সাড়ে ৩ হাজার মানুষ গুমের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করছে গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি। এসব ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব তথ্য জানিয়েছে গুম কমিশন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ করেন গুম কমিশন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা গত ১৬ বছর ধরে গুমের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে তার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তারা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই গুমসংক্রান্ত পূর্ণ প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, পরিপূর্ণ প্রতিবেদনের জন্য গুম কমিশনকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া হবে। ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনে পৃথক আদেশের মাধ্যমে আরও দুই বছর সময় দিতেও সরকার প্রস্তুত।
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০টি অভিযোগ পেয়েছেন। ৪০০টি যাছাইবাছাই করা হয়েছে। ১৪০ জন অভিযোগকারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অভিযোগকারীদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট। তবে অনেকে এখনো কমিশনে আসেনি।
কমিশনের একজন সদস্য জানান, কমপক্ষে সাড়ে ৩ হাজার মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কারা গুমের নির্দেশদাতা তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা। তিনি আরও বলেন, গুমের শিকার অনেকেই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে কারও কারও কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। কেউ কেউ প্রতিবেশি দেশ ভারতে কারাগারে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন