রাজধানীর বনানী, আভিজাত্য এলাকা। যেখানে হরহামেশাই দেখা মিলে দেশের সব দামি গাড়ির। মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, অডির মতো ব্র্যান্ডগুলো একটু উঁকি দিলেই দেখতে পাবেন সেখানে। তবে বিশ্বখ্যাত রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি হয়তো দেখা নাও যেতে পারে।
যাবে কীভাবে এমন দামি গাড়ির সংখ্যা দেশে অনেক কম। তবে হঠাৎ বনানীর রাস্তায় চলতে দেখা গেল রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি। সম্প্রতি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে একটি গাড়ির ভিডিও রিল ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে বনানীর রাস্তায় চলছে রোলস রয়েসের একটি গাড়ি। মুহূর্তেই গাড়ির সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে দামি এই গাড়িটি কার তা জানা যায়নি।
ভিডিওতে দেখা বিশ্বখ্যাত রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়িটিতে কোনো রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। নম্বর প্লেটের জায়গায় দেখা যাচ্ছে গাড়ি পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের নাম। বিলাসবহুল ও দামি গাড়িটির মালিক কে, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা।
কয়েক বছর ধরে ঢাকার রাস্তায় মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ ও অডি গাড়ির চলাচল পরিচিত দৃশ্য হয়ে গেছে। বিলাসবহুল এসব গাড়ি আমদানির সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে রোলস রয়েসের দেখা তেমন মেলে না।
এ জন্যই হয়তো ভিডিওটি আপলোডের পর অনেকেই মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, এটি বাংলাদেশের একটি বড় গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির মালিকের গাড়ি। আরেকজন দাবি করেছেন, গাড়িটি তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মিরপুর কার্যালয়ে দেখেছেন। আরেকজন লিখেছেন, এমন গাড়ি বাংলাদেশে আরও তিনটা রয়েছে। অনেকে ‘মালিক কে’ জানতে চাইছেন, আবার কেউ গাড়ির দাম জানার চেষ্টা করেছেন।
গাড়িটির ছবি ও মডেল অনুসন্ধানের জানা যায়, রোলস রয়েস স্পেক্টার হলো ব্রিটিশ বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক রোলস রয়েসের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ি। এটি ব্র্যান্ডটির একটি আধুনিক ‘গ্র্যান্ড ট্যুরার’ মডেল, যা বৈদ্যুতিক ড্রাইভ ট্রেনসহ বিলাসিতা ও পারফরম্যান্সের জন্য বিখ্যাত। রোলস রয়েস স্পেক্টার আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২২ সালে উন্মুক্ত করা হয়। প্রথম ডেলিভারি শুরু হয় ২০২৩ সালের শেষের দিকে। ইউএস ডলারে গাড়িটির দাম ৪ লাখ ২২ হাজার ৭৫০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় ৫ কোটি ৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮৪ টাকা। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ি না হলে (চার হাজার সিসির বেশি ধরে) শুল্ক–কর দিতে হতো ৮২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বা প্রায় ৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন