বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের মধ্যে সহযোগিতার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ নিরসন করা সম্ভব।
আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ঢাকায় রয়েল থাই দূতাবাসে অনুষ্ঠিত ৫৬তম আসিয়ান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ও আসিয়ান ঢাকা কমিটির (এডিসি) চেয়ার লিও টিটো এল আউসান এবং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হরতান্তো সুবোলো বক্তব্য দেন। এতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি ও চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : জাকার্তা ও ব্যাংকক যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্য ও সংহতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনি বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও মানব উন্নয়নের ওপর জোর দেন। তিনি আসিয়ানের যৌথ বাজার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ সমাধানে আসিয়ানের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, পারস্পরিক মর্যাদা, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো ও ঐকমত্যের নীতিতে অটল থাকার ওপর নির্ভর করছে আসিয়ানের সফলতার ভিত্তি। বাংলাদেশও এ মূল্যবোধ লালন করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও মর্যাদাপূর্ণ সম্পৃক্ততায় আমাদের নিজস্ব নীতি রয়েছে। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের চাবিকাঠি।
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশকে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন