কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেশ ছাড়তে চান ৫৫ শতাংশ তরুণ : গবেষণা

পুরোনো ছবি।
পুরোনো ছবি।

দেশে তরুণদের মাঝে বেকারত্ব নিয়ে ব্যাপক হারে উদ্বেগ বাড়ছে। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশের প্রায় ৪২ শতাংশ তরুণ বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তাদের মতে— বেকারত্বের প্রধান কারণ দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগে বৈষম্য এবং কাজ ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য না রাখা। এই সমস্যাগুলোর কারণে ৫৫ শতাংশ তরুণ বিদেশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ ২০২৪’ শীর্ষক এক গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ও ডিসেম্বরে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৩ হাজার ৮১ জন তরুণের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। এতে উঠে আসে, ২০১৫ সালের তুলনায় এখন দেশকে সঠিক পথে এগোচ্ছে মনে করা তরুণদের সংখ্যা কমে ৫১ শতাংশ হয়ে গেছে, যেখানে ২০১৫ সালে এটি ছিল ৬০ শতাংশ।

গবেষণায় অংশ নেওয়া ৩৭ শতাংশ তরুণ বলছেন— বেকারত্বের মূল কারণ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি, ২০ শতাংশ তরুণ নিয়োগে বৈষম্য এবং ১৮ শতাংশ তরুণ পারিবারিক জীবনের চাপের কারণে বেকারত্বকে বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ৪৪ শতাংশ তরুণ আগামী এক বছরে ব্যবসা শুরু করতে চান।

এ ছাড়া, ৭২ শতাংশ তরুণ ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন, তবে ৬৫ শতাংশ তরুণ নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করেছেন।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ৬৬ শতাংশ তরুণ নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। পুরুষদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ তরুণ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ২৭ শতাংশ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার এবং ৩০ শতাংশ তরুণ মনে করেন নারীরা পুরুষদের সমান নন, ২৫ শতাংশ তরুণ নারীদের ঘরের বাইরে পুরুষের মতো স্বাধীনতা দেওয়ার বিরোধী।

শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে তরুণদের ৪৯ শতাংশ বলেছেন, পাঠদানের মান অত্যন্ত নিম্ন, বিশেষ করে আধুনিক কর্মবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন পাঠ্যক্রমের কারণে।

গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ। তিনি বলেন, সরকার দেশের তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্রে রেখে কাজ করছে। সরকারের মৌলিক কাজ হবে মানবাধিকার রক্ষা, বৈষম্যহীন আইন ও নীতি কার্যকর এবং রাষ্ট্রে জনস্বার্থভিত্তিক নীতি কার্যকর করা।

বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থনে যুক্তরাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষার্থীরা প্রফেশনালিজম দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্র্যান্ডিং করতে পারে : জবি উপাচার্য

বিরতি থেকে কবে ফিরছে বিটিএস

ওয়াশিংটনের সমর্থনে আমরা বিপ্লব করিনি : মাহমুদুর রহমান

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

তেলআবিবে ইসরায়েলি সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলা

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আড্ডা, অ্যাকশনে পুলিশ

দেশের প্রয়োজনে আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা আহত রহমত আলীর

তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব ফিরেছে : দুলু

রাজধানীর বাড্ডায় আবাসিক ভবনে আগুন

শুক্রবার যেসব সড়ক দিয়ে যাবে বিএনপির র‍্যালি

১০

সাতক্ষীরার সেই পার্কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

১১

নিয়োগ দিচ্ছে স্যামসাং 

১২

ভোগান্তিতে চরাঞ্চলের দুই হাজার মানুষ

১৩

বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক মুক্তবুদ্ধির চর্চা ফিরে পেয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

১৪

ট্রাম্পের জন্য আশীর্বাদ ছিলেন সমকামিতা-গর্ভপাত বিরোধীরা

১৫

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা বৃদ্ধের, অতঃপর...

১৬

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের পুষ্পস্তবক অর্পণ

১৭

ভাবির হোটেলে খাবার খেলে সুযোগ মেলে ‘ভিন্নজগত’ ভ্রমণের!

১৮

আদালতে আমুর হুঁশিয়ারি / আজ যে পরিবেশ দেখছেন আগামীকাল তা থাকবে না 

১৯

অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রোগ্রাম অরগানাইজার নেবে ব্র্যাক

২০
X