স্মারক বক্তৃতায় বিশিষ্ট কবি, গবেষক ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল্যবোধ ছিল গণতান্ত্রিকতার এবং মুক্ত গণমাধ্যম-চর্চার। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ১৯৭২-৭৫ সময়পর্বেই আওয়ামী লীগ এদেশের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে ফ্যাসিবাদী কায়দায়। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে তারা টুটি চেপে ধরেছিল। তখন বৈরী পরিবেশে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য লড়াই করেছেন বলেই আমরা সত্যকে জানতে পেরেছি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজ বক্তৃতার দ্বিতীয় দিনে ‘গণমাধ্যমের ভূমিকা : জুলাই বিপ্লবের পূর্বাপর’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতায় বিশিষ্ট কবি, গবেষক ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার একথা বলেন।
তিনি বলেন, গত সাড়ে পনেরো বছরের শেখ হাসিনা শাসনামল ছিল অনুগত গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ‘প্রীতি’র আর স্বাধীন গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ‘ভীতি’র শাসন। যে কোনো নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদীর লক্ষণই তাই। নিজের নির্যাতিত হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এই প্রখ্যাত সাংবাদিক বলেন, হাসিনা বা তার দলের সংগত সমালোচনা করায় মুক্ত গণমাধ্যমকর্মীসহ অগণিত নাগরিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।
আবদুল হাই শিকদার বলেন, জুলাই বিপ্লব মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। আমরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যদি সমস্ত দালালি ত্যাগ করে একমাত্র জনগণের কাছে সঠিক সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারি- তাহলেই এই বিপ্লবের সুফল সবাই ভোগ করতে পারব।
প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য এ বছর দুই যুগপূর্তিতে ‘ঐতিহ্য দুই যুগ পূর্তি স্মারক বক্তৃতা’ শীর্ষক ৫ থেকে ৭ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী সিরিজ বক্তৃতার আয়োজন করেছে। এতে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকজন বিশিষ্ট বক্তা তাদের একক বক্তৃতা উপস্থাপন করছেন।
মন্তব্য করুন