নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের স্থান রাখার বিধান বাতিলের দাবিতে স্বাস্থ্য আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছে উবিনীগ।
সোমবার (০৪) এ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় উবিনীগ।
ধূমপান ও তামাক সেবনের ফলে স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ ফুসফুসের বিভিন্ন জটিল রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। চিকিৎসা খাতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যয়। তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় বছরে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, যা তামাক খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের চাইতে অনেক বেশি।
উদ্বেগের বিষয়, ধূমপান না করেও তামাক সেবনকারীদের বেপরোয়া ধূমপানের কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন পরোক্ষ ধূমপায়ীরা। হোটেল-রেস্তোরাঁ, জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের বর্তমান মোট জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখেরও বেশি। সর্বশেষ গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে কর্মস্থলে ৩০ শতাংশ নারী এবং জনসমাগমস্থলে ২১ শতাংশ নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। নিকোটিন অ্যান্ড টোব্যাকো রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৯২ শতাংশ শিশুও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় ধূমপায়ীকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে এবং অধূমপায়ীর স্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষ থেকে আইন সংশোধন করে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের স্থানের বিধান বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। ধূমপানমুক্ত স্থান একদিকে ধূমপায়ীকে ধূমপান থেকে বিরত রাখবে অপরদিকে ধূমপান ত্যাগে উদ্বুদ্ধ করবে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দূর্বলতা এবং বাস্তবায়নের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে গণমানুষের পক্ষে সঠিক নীতির প্রণয়নের জন্য কাজ করছে স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলন আশা করছে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের জনগণের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে বর্তমান সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মন্তব্য করুন