কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি : সংগৃহীত
ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি : সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশব্যাপী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গবেষণা এবং উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকল্পে গঠিত কমিটিতে দেশের স্বনামধন্য কীটতত্ত্ববিদগণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞ। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই দেশে ডেঙ্গু মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে দেশব্যাপী ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধকল্পে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসান আরিফ বলেন, বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়নভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিশ্চল অবস্থায় আছে। রাজধানীতে একটা মশক নিবারণী দপ্তর আছে। যা বস্তুত অকার্যকর। ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানটিতে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে গতিশীল করতে হবে। মশক নিধনে মেডিসিন ভিত্তিক কার্যকলাপে সীমাবদ্ধ না থেকে পরিবেশ বান্ধব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞগণ মতামত দিয়ে জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাগত তথ্য নয়, রোগীর ঠিকানা অনুসন্ধান করেও ব্যবস্থা নিতে হবে৷ মশক নিধন স্প্রে শুধুমাত্র নালা-নর্দমায় নয় বাড়ির ভিতরেও ছিটানো প্রয়োজন৷ সিটি করপোরেশনগুলোতে এন্টোমলজি ল্যাব স্থাপন করতে হবে। বিভিন্ন স্থান হতে মশা সংগ্রহ করে প্রজাতি নির্ধারণ করে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক লার্ভার দৈনন্দিন ঘনত্ব কেমন তা যাচাইবাছাই করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সভায় প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায়, সারা দেশে এই বছর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৪৭১ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৩১৪ জন। গত বছর এই সময়ে ডেঙ্গু সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ১৬৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৮০ জন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৭২ টি স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। যেখানে লার্ভা পাওয়া গেছে ৭ হাজার ১৯৫টি স্থাপনা৷ প্রজনন স্থল ধ্বংস ও লার্ভিসাইড স্প্রে করা হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার ৩০৭ টি স্থাপনায়। মশক নিধনে স্প্রে করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫০৫টি নোভালিউরন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. মো. শাহাদাত হোসেন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ডিএনসিসির প্রশাসন মো. মাহমুদুল হাসান, নাসিকের প্রশাসক মো. কামরুজ্জামানসহ আরও অনেকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন কোনো ইটভাটার অনুমোদন হচ্ছে না : পরিবেশ উপদেষ্টা

কুয়াকাটায় ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশন কেন নয় : হাইকোর্টের রুল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কেন ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে হয়

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ছাত্রশিবিরের অভিযোগ

বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকার দিকে নজর বার্সার

কুমিল্লায় বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ

জনবল নেবে আগোরা, কাজ সপ্তাহে ৫ দিন

ডাকাতকে চিনে ফেলায় বাড়ির মালিকের ছেলেকে হত্যা

আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

১০

নেত্রকোনায় রাইফেলসহ গ্রেপ্তার ৩

১১

রংপুর মেডিকেলে ইনডোর-আউটডোর বন্ধ, দুর্ভোগে রোগীরা 

১২

প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘রং ঢং’

১৩

চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ

১৪

মাঠে বজ্রপাতের আঘাতে ফুটবলারের মৃত্যু, আহত আরও পাঁচ (ভিডিও)

১৫

সূর্য উঠারও আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

১৬

চুরির অভিযোগে দুই যুবককে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধর, ভিডিও ভাইরাল

১৭

গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

১৮

বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকা অবস্থান কত?

১৯

পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো খাগড়াছড়ি

২০
X