শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ডেমরার দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা পরিদর্শন এবং শিক্ষার্থী ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস বলেন, আমরা যদি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ উপহার দেই তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ধর্মীয় মূল্যবোধ, পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষাসহ সকল প্রকার শিক্ষা ব্যবস্থা বিনষ্ট করতে দেশ ও দেশের বাইরে থাকা একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তাই শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করে সবাইকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মতো আমাদের এক সময় দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।
এ সময় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারীরা ন্যায়ের পক্ষে কাজ করেছে বলে তাদের কখনোই বিভাজিত করা যাবে না। তারপরও বাংলাদেশের ভিতরে ও বাইরে যে শক্তিশালী অপগোষ্ঠী রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত আমাদের বিভাজিত করতে চায়। ওরা নিজেদের মুখোমুখি আমাদের দাঁড় করাতে চায়। তাই তাদের বিরুদ্ধে এখনই আমাদের সোচ্চার হয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর শহীদ পরিবারের পাশে সবসময় থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের টাকা থেকেই শহীদ পরিবারদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী চক্রান্ত বিগত ১৬ বছর ধরে ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এই ’২৪-এর অভ্যুত্থানে সকল স্বৈরাচারের পতন হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই যেন রাজনৈতিকভাবে কলুষিত না হয়। সত্য ও ন্যায়ের পথে আমরণ থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। এ সময় নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শিক্ষার্থী ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, জিম, মিতু, ডিএসসিসির ৬৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম, দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ খ ম আবু বকর সিদ্দিক, সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. মাহবুবুর রহমান, শিক্ষার্থী রেদওয়ান, শামীম ও সোলায়মান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এ দিন বেলা ১১টায় ডেমরার সামসুল হক খাঁন স্কুল এন্ড কলেজ, ১২টায় মাতুয়াইলের ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, দুপুর ১টায় ডেমরার দারুন্নাজাত মাদ্রাসা, শিক্ষার্থী, আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন