ঢাকা থেকে আদ্দিস আবাবার পথে ফ্লাইট চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করল পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ উড়োজাহাজ সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা এয়ারলাইন্সের সংখ্যা বেড়ে হল ৪০টি।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে উড়োজাহাজ সংস্থাটির উদ্বোধনী ফ্লাইট চালু উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার প্রতিনিধিরা বলেছেন, ঢাকা থেকে সরাসরি চালু হওয়া ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স বাংলাদেশকে আকাশপথে বিশ্বের মূল গন্তব্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করল। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই অনুষ্ঠান হয়।
এর আগে গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় আদ্দিস আবাবা থেকে ছেড়ে আসা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে। এভিয়েশন খাতের রেওয়াজ অনুযায়ী জল কামানের স্যালুট দিয়ে উড়োজাহাজটিকে ঢাকায় বরণ করে নেয় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী ফ্লাইটের যাত্রীদের মধ্যে ইথিওপিয়ার সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের প্রধানসহ এয়ারলাইন্স কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তারা ছিলেন। তাদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবির ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। ফিতা ও কেক কেটে প্রথম ফ্লাইটের উদযাপন করা হয় সেখানে। অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবির ভূঁইয়া বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে অসংখ্য বাংলাদেশি কাজ ও ব্যবসা করেন। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সে দেশে তারা আসা-যাওয়ার সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সদস্যরা ছুটিতে দেশে আসার ক্ষেত্রে যে জটিলতায় পড়তেন, এর মাধ্যমে তা অনেকখানি দূর হবে। আফ্রিকা থেকে ঢাকায় আসার খরচও অনেক কমবে।
ইথিওপিয়ার সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক গেটাচিউ মেনগিস্টি আলেমায়েহু বলেন, এই ফ্লাইট বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার মধ্যে কেবল সরাসরি সংযোগই নয়, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মূল গন্তব্যগুলোকেও সংযুক্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি গতিশীল ও ক্রমবর্ধমান বাজার এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের আধুনিক বহর ও ব্যতিক্রমী পরিষেবা আমাদের দুই অঞ্চলের মধ্যে ভ্রমণকারীদের চাহিদা পূরণ করবে।
অনুষ্ঠানে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স গ্রুপের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার লেম্মা ইয়াদেচারসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন। এতে বেবিচক সদস্য (অপারেশনস ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মাহবুব খান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন