আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (১লা নভেম্বর) বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ধরনের সমালোচনা করেছেন তার বক্তব্যটি পুরোপুরি উসকানিমূলক ও বড় ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত। এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা এধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না। এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। রোববার (৩ নভেম্বর) এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু সংস্থাটির পক্ষে এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, একজন বিশ্বনেতা হিসেবে মি. ডোনাল্ড ট্রাম্প তার স্বাভাবিক চিন্তার জায়গায় বসে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে পারেন না! এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা মনে করে বাংলাদেশকে অশান্তির গোলচত্বর বানানোর জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও ভিনদেশি শক্তির ইশারায় আলেমদের জঙ্গি বানানো এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। এধরনের ঘটনায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় নেতাকর্মী ও ভিনদেশি সোর্স ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দল, সংগঠন জড়িত ছিল না।
বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ তুলে ধরা হয়। ট্রাম্প লিখেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলার কড়া নিন্দা জানাচ্ছি। যারা উচ্ছৃঙ্খল জনতার দ্বারা হামলা ও লুটের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।
এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এধরনের বক্তব্য ভুল তথ্যদ্বারা সজ্জিত। এধরনের ঘটনা গত ৫ আগস্ট-২৪'র পর থেকে কোথাও ঘটেনি। বাংলাদেশ এখন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের মিলিত বিজয়ের অংশ। সম্প্রীতির মিলন মেলায় আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ। এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচিত সর্ব ভারতে মুসলমানদের ওপর ভারতীয় বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদী সরকার কর্তৃক যে, দমন-পীড়ন ও গণহত্যা চালানো হচ্ছে, সে বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো।
এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মন্তব্য হলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নয়! ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘুরা, ইসরায়েলি বাহিনী দ্বারা ফিলিস্তিন-গাঁজাবাসী নির্যাতিত। তবে সকল স্বৈরশাসকের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
মন্তব্য করুন