ফ্যাসিস্ট সরকারের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে বেড়ে ওঠা প্রকাশকদের কালো তালিকাভুক্তকরণের দাবি জানিয়েছেন ‘বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’-এর প্রতিনিধিদল।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’-এর প্রতিনিধিদল গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনীষ চাকমার সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান।
সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি এই প্রকাশনা সেক্টর ভবিষ্যতে যেন এমন অন্ধকার সময় আর না দেখে, সেই জন্য লুটপাটের সঙ্গে যুক্ত এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বই ক্রয়ের আবেদনে একই ব্যক্তির বা একাধিক নামে আবেদনের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। বিভিন্ন তালিকায় মনোনীত বই নির্বাচনের ক্রাইটেরিয়ার ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা ও সম্পৃক্ততার কথাও বলেন প্রকাশকরা।
অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কীভাবে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে পাঠ্যাভ্যাস বৃদ্ধি, বইপ্রেমীদের কাছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বই সহজলভ্য করা, নীতিমালা ও আইনগত সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থার প্রতিনিধিরা নিজস্ব মতামত জানায়। তারা পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ নিয়ে আলোচনা করেন। এই বিষয়ে প্রকাশক প্রতিনিধিরা তাদের লিখিত প্রস্তাব হস্তান্তর করে। আলোচনায় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ও প্রকাশক প্রতিনিধিরা নিজ নিজ মতামত দেয়।
এই সভায় ‘বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইকবাল হোসেন সানু (লাবনী প্রকাশনী), সাধারণ সম্পাদক মো. গফুর হোসেন (রিদম প্রকাশনা), মো. জহির দীপ্তি (ইতি প্রকাশন), মো. আইনুল হোসেন (এএইচ ডেভলপমেন্ট পাবলিশিং), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (শোভা প্রকাশ), মাশফিক উল্লাহ তন্ময় (স্টুডেন্ট ওয়েজ), আবু বকর সিদ্দিক রাজু (স্বরে-অ), রাজ্জাক রুবেল (গ্রন্থিক), স্বপন কুমার দত্ত (জোৎস্না পাবলিশার্স), মো. সায়ফুল্লাহ খান (নূর কাসেম পাবলিশার্স), দীপংকর দাশ (বাতিঘর)।
ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে এই ব্যাপারে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ এবং প্রকাশক প্রতিনিধিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন