অনিয়ম ও শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজে জড়িয়ে চাকরি হারানোর পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) এক কর্মী মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ডিআইপি। বরখাস্ত হওয়া অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মাফতুল হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে ডিআইপির মহাপরিচালকসহ অন্য এক কর্মকর্তাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ডিআইপিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন) সেলিনা বানু বলেন, গত রোববার বরখাস্ত কর্মী মাফতুল হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে তার চাকরি যাওয়া নিয়ে নানা মিথ্যাচার করেন। তিনি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্য একজন কর্মকর্তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালান। বিষয়টি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজরে আসে এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাফতুলের এই কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ধরনের মিথ্যাচার অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে বলেও তারা মনে করছেন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, প্রকৃতপক্ষে মাফতুল হোসেন বিশেষ কোটায় চাকরি পাওয়া একজন কর্মচারী। তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েই উশৃঙ্খল ও অনিয়মিত কর্মচারী হিসেবে বিভিন্ন সময় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অনেক সময় তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হতেন, হাতাহাতি করতে উদ্যত হতেন, আগত সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ মারধরের ঘটনাও ঘটিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করাসহ প্রায়ই অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতেন এবং দায়িত্বে অবহেলা করতেন। এসব বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে গেলে নানাভাবে কর্তৃপক্ষকে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হতো। অবশ্য আগে তাকে বহুবার কারণদর্শানোসহ দুবার সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সে সময়ে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ১ বছরের জন্য বার্ষিক বেতন স্থগিত করা হয় এবং পরবর্তীতে এমন কার্যক্রম আর করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করায় মানবিক বিবেচনায় তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সেলিনা বানু বলেন, এরপরও ওই কর্মীর নানা অপর্কম থামছিল না। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বিনষ্ট ও অসদাচরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফের তদন্ত পূর্বক বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। সব নিয়ম অনুসরণ করেই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া ওই কর্মী ফেসবুক লাইভে যে ধরনের আপত্তিকর ও মিথ্যা কথা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও অর্থ) এ টি এম আবু আসাদ, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শিহাব উদ্দিন খান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এ কে এম মাজহারুল ইসলাম ও পরিচালক (পাসপোর্ট ও ভিসা) নাদিরা আক্তারসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন