মহিষের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় কৃষি কাজের প্রাণী হিসেবে মহিষকে বিবেচনা করা হতো। আর এখন মহিষের মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ এবং প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোরব) সকালে সাভারের বিসিডিএমে ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। মহিষের পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে মহিলারা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চরে হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এর আগে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কীভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মহিষসহ গবাদিপশুর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, মহিষ পালন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন-ডাই অক্সাইড (CO₂) হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
বক্তারা বলেছেন, উন্নত বিশ্ব মহিষের উৎপাদনশীলতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে তাদের প্রজনন কর্মক্ষমতা এবং দুধ উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে।
এ ক্ষেত্রে ইতালিতে মহিষ ফার্মিং অত্যন্ত সফল এবং লাভজনক একটি খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ইতালির মহিষ ফার্মিং মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
প্রফেসর ওমর ফারুকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড. অশোক কুমার বালহারা, ড. যাদব, ড. হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।
মন্তব্য করুন