প্রবল ঝড় রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। যা আরও অগ্রসর হচ্ছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে জানা গেছে। এ সময় দানার বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
‘দানা’ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে গোটা ওড়িশা। ইতোমধ্যেই ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল বা আছড়ে পড়ার সম্ভাব্য জায়গার কথাও উল্লেখ করেছে। বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, বর্তমানে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ‘দানা’। ধামারা থেকে ৩১০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের ভুবনেশ্বর আঞ্চলিক অফিসের তথ্য বলছে, এই ঝড়ের তাণ্ডব সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায়। এই তিন জেলায় তাই বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভুবনেশ্বর আঞ্চলিক অফিসের অধিকর্তা মনোরমা মোহান্তি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ময়ূরভঞ্জ জেলায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার। জগৎসিংহপুর, কটক, জাজপুর জেলায় এই গতিবেগ হতে পারে ৬০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অন্যদিকে পুরী, খুরদা, ঢেঙ্কানল এবং কেওনঝড়ে ‘দানা’র গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার, সুন্দরগড়ে ৫০-৬০ কিমি, গঞ্জাম নয়াগড়, আঙ্গুল, দেওগড় এবং সম্বলপুরে এই ঝড়ের গতি হতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি এই জেলাগুলোতে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারি বৃষ্টি হবে ময়ূরভঞ্জ, বালেশ্বর, ভদ্রক, জাজপুর, কেন্দ্রাপাড়া, কটক, জগৎসিংহপুর, খুরদা, পুরী এবং গঞ্জাম জেলায়।
মন্তব্য করুন