শামসুর রাহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বক্তারা বলেন, কবি শামসুর রাহমান বাংলা কবিতায় নিজস্ব ভাষা নির্মাণে যেমন অবদান রেখেছেন, তেমনি কবির সামাজিক মার্যাদা প্রতিষ্ঠায়ও তাৎপর্যবহ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি সবসময় চিরকালীনতা ধারণ করে বিস্ময়করভাবে সমসাময়িক ছিলেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বাংলা একাডেমির আয়োজনে কবির জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব মো. নায়েব আলী। বাংলাদেশের স্মৃতি নির্মাণের কবি শামসুর রাহমান শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি মৃদুল মাহবুব। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি মজিদ মাহমুদ, কবি চঞ্চল আশরাফ এবং পিআইবির মহাপরিচালক, বিশিষ্ট লেখক ফারুক ওয়াসিফ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক সায়েরা হাবীব।
অধ্যাপক মোহাম্মাদ আজম বলেন, শামসুর রাহমান আমাদের ইতিহাসের দীর্ঘ পরম্পরা যেমন আছে করে বাংলাদেশের লড়াকু মানুষের মুখাবয়ব চিহ্নি তার আমৃত্যু কবিতাচর্চায় সামষ্টিক স্মৃতি তৈরি করে গেছেন। এই স্মৃতিতে তেমনি ছিল কবির রক্তরাঙা বর্তমান এবং অনন্ত আগামী। ঢাকাকে কেন্দ্র করার ক্ষেত্রে তার কাব্যিক লড়াই এককথায় অতুলনীয়।
মোহা. নায়েব আলী বলেন, কবি শামসুর রাহমান যেমন বাংলাদেশকে তার কবিতায় বিপুলভাবে ধারণ করেছেন তেমনি বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশের জনমানুষ তাকে সবসময় স্মরণে রেখেছে। আমাদের স্বাদেশিক সকল সংগ্রামে শামসুর রাহমান প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন।
কবি মৃদুল মাহবুব বলেন, বাংলা ভাষায় শামসুর রাহমানের মতো এমন ব্যক্তি, বৈচিত্র্য, নতুন দেশ নির্মাণের উপাদান তৈরির যে শক্তি তা বিরল ঘটনা। তিনি নতুন বাংলার জন্য স্মৃতির জন্ম দিয়েছেন। তার কবিতায় এমন এক নাগরিক বোধ আমরা খুঁজে পেলাম যা নিয়ে গিয়েছে চূড়ান্ত বাংলাদেশ-চিন্তার দিকে।
তিনি বলেন, কবি শামসুর রাহমান একটা দেশের জন্য যৌথ চেতনা তৈরি করেছেন বছরের পর বছর ধরে। ফলে তার কবিতা পড়তে গিয়ে বাংলাদেশের এমন সব স্মৃতি আমাদের মনে পড়ে যাবে যাকে দিয়ে এই দেশের মাটিতে আপনি নোঙর ফেলতে পারবেন। রাহমান যে বাংলাদেশের ছবিটা তার কবিতায় এঁকেছেন তা পড়লে আমার জনগোষ্ঠীর জীবন্ত ইতিহাসকে নিয়ে বর্তমানে প্রবেশ করতে পারবো যা আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রণোদনা দেবে।
মন্তব্য করুন