সমাজ থেকে নির্যাতন কমানোর অঙ্গীকার করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি গৃহকর্মী খাদিজার শারীরিক অবস্থা দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সবার সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা সমাজ থেকে নির্যাতন কমাব। শক্ত হাতে নিবিড়ভাবে আমরা এ কাজ করতে চাই।
অমানসিক নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী খাদিজাসহ অন্যান্য শিশুদের খোঁজখবর নেন উপদেষ্টা। তিনি দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসকদের নির্যাতিত শিশুদের নিবিড় পরিচর্যা ও সুচিকিৎসা দিয়ে সুস্থতা করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা মেডিকেল কনফারেন্স রুমে এক সভায় শারমীন এস মুরশিদ বলেন, সমাজে নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আমাদের ক্যাম্পেইন করতে হবে। ভিকটিমদের মামলাগুলো দ্রুত শাস্তির আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সমাজ থেকে শিশু ও নারী নির্যাতন কমে আসবে।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন রোধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে সিট খালি রাখার ওপর গুরাত্বারোপ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, চিকিৎসক, আইনজীবী এবং পুলিশকে নির্যাতিত শিশুদের সরেজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য এবং মামলা পরিচালনা করার বিষয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে অমানবিক নির্যাতনের শিকার ১৩ বছর বয়সের কিশোরী কল্পনাকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে উদ্ধার করে ভাটারা থানা পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত তরুণী জিনাত জাহান আদরকে। নির্যাতনের শিকার কিশোরী গৃহকর্মী কল্পনা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে ঠিকমতো খাবার খেতে দেয় না। সারা দিনে মাত্র একবেলা খাবার দেয়। আর সব সময় মারধর করে। বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেয় না।’
আহত কল্পনার শরীরের বিভিন্ন জায়গা গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে এবং দাঁত উফড়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়াও চুল স্টেইট করার যন্ত্র দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শরীরের নানা অংশ। গুরুতর জখমের শিকার কল্পনা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন