সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম, সাবেক এমপি ইকবালুর রহিম ও তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা মুক্তি, শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামসহ অন্য একজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালত এসব আদেশ দেন।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ ও তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের করা আবেদনে বলা হয়েছে, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি অনুদানের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, করোনাকালে ভুয়া প্রশিক্ষণ বিল উত্তোলন এবং ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর কাবিখার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নাম ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান। নুরুজ্জামান আহম্মেদ ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান।
সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম ও তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা মুক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নাম ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান। ইকবালুর রহিম ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী।
শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির রিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিসহ, ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে শত কোটি আত্মসাৎ ও বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান। লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
এসকল অনুসন্ধানের বিষয় রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশের বর্তমান বাস্তবতায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন বলে আবেদনসমূহে উল্লেখ করা হয়। তবে গুঞ্জন রয়েছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এসব ব্যক্তিদের অনেকেই এরই মধ্যে বিদেশে অবস্থান করছেন।
মন্তব্য করুন