কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে কী ভাবছে ভারত?

শেখ হাসিনা। পুরোনো ছবি
শেখ হাসিনা। পুরোনো ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়েছেন প্রায় আড়াই মাস হয়েছে। এই সময়জুড়ে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন বলেই জানা গেছে।

মূলত গত ৫ আগস্টে একটি সামরিক বিমানে দিল্লিতে অবতরণ করেন তিনি। এরপর থেকে তার আর দেখা মেলেনি। দিল্লিতে নামার পর থেকে কীভাবে আছেন, কোথায় আছেন তা নিয়ে ভারত সরকারের মুখপাত্র, মন্ত্রী বা নীতি-নির্ধারকরা আজ পর্যন্ত কোনো তথ্য দেননি।

তবে শেখ হাসিনা যে ভারতেই আছেন তা মোটামুটি বলাই যায়। গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ও পরোক্ষেভাবে জানিয়েছে যে তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনার এ দেশে থাকা নিয়ে ভারত সরকার সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রাখতে সফল হয়েছে এটা যেমন ঠিক, তাকে কতদিন ভারতে রাখতে হবে সে ব্যাপারে দিল্লি কিন্তু এখনো পুরোপুরি অন্ধকারে।

দিল্লির সাউথ ব্লকের একজন শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তার ধারণা, বেশ লম্বা সময়ের জন্যই শেখ হাসিনাকে ভারতে থাকতে দিতে হবে এই বাস্তবতার জন্যই সরকার এখন ক্রমশ প্রস্তুত হচ্ছে।

তাহলে কি অতীতে যেভাবে তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামা বা আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানদের ভারত ‘পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম’ বা রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল, শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ভারত সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতের চোখে এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা হলেন একজন ‘গেস্ট, বাট আন্ডার কমপালশন!’ অর্থাৎ তিনি রাষ্ট্রের একজন সম্মানিত অতিথি– যাকে বিশেষ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ভারতে চলে আসতে হয়েছে। নিজ দেশে তার নিরাপত্তা বা সুরক্ষা বিপন্ন হয়ে উঠেছিল বলেই তিনি ভারতে এসেছেন, এটাও ভারত খুব ভালো করেই জানে। এখন এই ‘অতিথি’র স্ট্যাটাসেই তাকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এ দেশে রেখে দেওয়া যেতে পারে– ভারতের তাতে কোনো অসুবিধা নেই। দেশের পুরনো বন্ধু ও অতিথি হিসেবে তিনি সব প্রাপ্য সম্মানই পাবেন।

দ্বিতীয়ত, পরে পরিস্থিতি অন্যরকম হলে অন্য কিছু ভাবা যাবে– কিন্তু এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় বা অ্যাসাইলাম দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা ভারতের নেই। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি নিজেও অ্যাসাইলামের জন্য কোনও আবেদন করেননি। কিন্তু যদি সত্যিই পরে সেরকম কোনো প্রস্তাব আসে, ভারত সরকার জানে এ ব্যাপারে দেশের সব দলই একমত হবে এবং শেখ হাসিনাকে অ্যাসাইলাম দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করা কোনো সমস্যাই হবে না। কিন্তু এখনই আগ বাড়িয়ে এরকম কোনও পদক্ষেপ দিল্লি নিতে চাইছে না।

ফলে এক কথায় বলতে গেলে, আপাতত ভারত শেখ হাসিনাকে ‘আতিথেয়তা’ দিতে চাইছে – ‘আশ্রয়’ নয়।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদি আরবে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে : উপদেষ্টা আসিফ

দেশের বাজারে সিয়েট ব্র্যান্ডের ৩টি নতুন মডেলের টায়ার আনল এসিআই মোটরস

খেলোয়াড়দের সুরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে দাবি ফিফা সভাপতির

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উল্টে গেল যাত্রীবাহী বাস

চীনে ‘সন্তান নিতে ভয়’ কারণ খুঁজতে সমীক্ষা

‘আমি মরে গেলে দুইটা এতিম শিশুর কী হবে’

‘রায়ের তোয়াক্কা না করে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করেন শেখ হাসিনা’

‘সরকার পতনে জয়ী ভাবা অনেক দলের এজেন্ডায় রাষ্ট্র সংস্কারের চিন্তা নেই’

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সুখবর দিল মালয়েশিয়া

১০

জিয়াউর রহমানের সমাধি প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করল ছাত্রদল

১১

নাটোরে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ২ 

১২

কাল বিচারিক কার্যক্রমে ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট

১৩

নির্বাচন নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

১৪

ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলানোর জন্য পাকিস্তানের অন্যরকম প্রস্তাব

১৫

মিয়ানমানের জান্তার বিরুদ্ধে একজোট মুসলিম-খ্রিস্টানরা

১৬

পল্লী বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

১৭

গভীর রাতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১৮

আ.লীগের ওপর আল্লাহর গজব পড়েছে : অ্যাড. শাহজাহান

১৯

রিমান্ড শেষে কারাগারে আনিসুল হক

২০
X