আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিচারপতি গোলাম মুর্তজা মজুমদারকে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেছি। ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা এই মাসের মধ্যেই হয়ত বসতে পারেন। এ ছাড়া আরও দুই জন বিচারক ট্রাইব্যুনালে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের যে অবস্থা ছিল, আমরা ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করেছি। আমরা এতে অনেক সংশোধন এনেছি। যেমন- আসামিপক্ষ যেকোনো দেশের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অবজার্ভার হিসেবে থাকতে পারবে। সাক্ষ্য আইনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সাক্ষ্যের যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতার বিধান এনেছি।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, অপরাধের সংজ্ঞার ক্ষেত্রেও আমরা রোম স্ট্যাটিউট মোতাবেক করার চেষ্টা করেছি। এসব সংশোধনী নিয়ে আমরা অংশীজনদের মতামতও নিয়েছি। এসব সংশোধনী হয়ত এ মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু সংশোধনীর জন্য বিচার আটকে থাকবে না।
তিনি বলেন, এখন যে অবস্থা আছে, এ অবস্থাতেই বিচার শুরু হতে পারে। আমাদের দুর্ভাগ্য, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় যারা দায়ী ছিল বলে আমরা মনে করি, যারা প্রকাশ্যে গুলির হুমকি দিয়েছে, তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হননি, আত্মগোপনে আছেন। পলাতকদের বিচারের বিধান এই আইনে আছে।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, ২ দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। ওইদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অধ্যাপক পিয়াস করিমের স্বরণসভায় এই কথা জানান তিনি।
অন্যদিকে, গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমে নিয়োগ হলেও বাকি ছিল বিচারক নিয়োগ। আজ তা সম্পন্ন হলো।
মন্তব্য করুন