কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৩ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগ হওয়া মাত্রই ট্রাইব্যুনাল ফাংশনাল হবে। এরপর আমরা নেসেসারি কিছু অর্ডারস চাইব। এ বিচার শুরুর আগে যেগুলো দরকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা, অনেক রকমের তথ্য-উপাত্ত এগুলো সিজ করার জন্য অর্ডার লাগবে। তাদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য লাগবে। সে ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আদেশ আসবে। ইমপ্লিম্যান্ট করার দায়িত্ব কিন্তু ট্রাইব্যুনালের হাতে না, এর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, মূলত যাদের নির্দেশে ও যাদের কারণে এই গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, তাদের বিষয়গুলো যারা টপ কমান্ডারস... তাদের আমরা প্রায়োরিটির তালিকায় শুরুতে নিয়ে এসেছি। আইন অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হবে। কোনো অপরাধী বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকলে, ইন্টারপোলের সিস্টেমের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ ইন্টারপোলে রেড নোটিশ পাঠাতে পারে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। এমন পরিস্থিতিতেই আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ হবে। স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল বহাল রাখা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলমান ছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওয়েবসাইট চালু করল ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা / ব্যাটলফিল্ড হবে না ইরাক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মায়ের মৃত্যুর খবরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকচাপায় মারা গেলেন দুই বোন

দীপ্ত টিভির কর্মী খুন : যা বললেন বিএনপি নেতা রবি

মন্দিরের মুকুট চুরি, ৪ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ

নিঝুম দ্বীপে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা সভা

অজ্ঞাত স্থান থেকে গান শোনালেন মমতাজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

গণহত্যা সমর্থনকারী সাংবাদিকদের বিচার হবে : নাহিদ ইসলাম

নাফ নদী দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা

১০

আন্দোলনে হামলাকারীরা কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না, প্রশ্ন রিজভীর

১১

হেফাজতে ইসলামের ভোলা জেলা কমিটি গঠন

১২

বিয়ের গেটে টাকা কম দেওয়ায় দুপক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২৫

১৩

ভারতে পূজামণ্ডপে গুলি, আহত ৪

১৪

মায়ামিতে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে মেসিপত্নীর

১৫

‘রিদম প্লাগড’ এ বাপ্পা, টিলু-এলিটা 

১৬

সনাতনীদের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় প্রিন্সের

১৭

নাইটক্লাব বিতর্কে এমবাপ্পেকে সমর্থন ফরাসি ফুটবলারদের

১৮

পালানোর সময় বিমানবন্দরে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৯

পাঁচ মিলিয়ন ডলারের লোভ দেখিয়ে প্রতারণা

২০
X