তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা নতুন সংবিধানের কথা বলছি, সংবিধানতো বাংলাদেশের দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়ে গেছে। দেশের মানুষ কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় তা গ্রাফিতির মাধ্যমে দেয়ালে দেয়ালে তুলে ধরেছেন তরুণরা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় জাদুঘরে গ্রাফিতি প্রদর্শনী ও বিপ্লবের লাল কবিতা পাঠ আয়োজন উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যে ছাত্র-জনতা এই অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছে তাদের সংগঠিত হতে হবে। কারণ এই আন্দোলনের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা তারাই ধারণ করে। নতুন বাংলাদেশ গঠনে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি হতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, পুরো বিশ্ববাসীর অভ্যুত্থানকে বুঝতে চাচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি অভিনব অভ্যুত্থান হয়েছে যাকে বিপ্লবের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান জেন-জি (Gen-Z) প্রজন্ম, যে প্রজন্মকে সবাই ভোগবাদী, স্বার্থবাদী হিসেবে ভেবেছে তারাই নিজের জীবন উৎসর্গ করে এই বিপ্লব সংঘটিত করেছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম। এর ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই বিপ্লব ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ দেখতে চায় আমরা এখন কী কাজ করি। আমরা দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমরা শুধু ভাঙতে পারি না আমরা গড়তেও পারি। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রমাণ করব বললেও তিনি মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা অভ্যুত্থানে ছিল তারা অনেকে এখনো অবহেলিত। আমলাদের অনেক রদবদল হলেও সেভাবে সুফল মিলছে না। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে এ সরকারের বিরুদ্ধেও জনগণ অবস্থান নিবে। এ কথাটি যেন আমরা ভুলে না যাই। অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিভক্ত না হয়ে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান উপদেষ্টা নাহিদ।
কেন গ্রাফিতির প্রয়োজন হলো বলতে গিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, কারফিউ এবং অন্যান্য কারণে যখন মানুষ রাস্তা নামতে পারছিল না সেই সময়টাতেই গ্রাফিতির মাধ্যমে মানুষ তাদের কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে দেয়ালে দেয়ালে। বাংলাদেশের প্রতিটি দেয়াল এই অভ্যুত্থানের সাক্ষী। এই কথাগুলো আমরা সংরক্ষিত রাখব এবং এর মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশের মর্মকথা বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, ২৫ হাজারের বেশি গ্রাফিতির সংগ্রহ নিয়ে এর প্রদর্শনী শুরু হয়। প্রজন্ম শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমি এবং সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন