ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুথ্থানে আহত ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করাসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষায় প্রতিবন্ধী অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর সংশোধন ও সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। বুধবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডাব্লিউডিডিএফ) ও আন্টি-ডিসক্রিমিনেশন লিগ্যাল ফোরাম (এডিএলএফ) এর আয়োজনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নের ১১ বছর উপলক্ষে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ : বাস্তবায়ন ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা একথা বলেন।
এ সভায় প্যানেল আলোচক ছিলেন, নিউ এজ-এর সহকারী সম্পাদক সায়দিয়া গুলরুখ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, প্যানেল আলোচক উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন্নাহার মিষ্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার শাহরিয়ার শাকির, দা লিগ্যাল সার্কেল এবং সদস্য, এন্টি-ডিসক্রিমিনেশন লিগ্যাল ফোরাম অ্যাসোসিয়েটস এর নাফিউল আলম সুপ্ত, এন্টি-ডিসক্রিমিনেশন লিগ্যাল ফোরাম এবং অ্যাডভোকেট সদস্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, শিক্ষার্থী মোবাসসারা করিম মিমি। সমাপনী বক্তব্য দেন ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম।
প্যানেল আলোচক খন্দকার শাহরিয়ার শাকির, বলেন, আইনের ১৬ ধারায় যে ২১টি অধিকারের কথা বলা আছে সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা, আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং প্রতিবন্ধী অধিকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।
আশরাফুন্নাহার মিষ্টি বলেন, জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বমোট ৫টি স্তরে প্রতিবন্ধী অধিকার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত কমিটির কথা বলা হলেও বেশ কিছু জেলায় সেসকল কমিটি গঠন করা হয়নি বা করা হলেও তার কার্যকারিতা প্রকৃতপক্ষে নেই। এসকল বৈষম্য দূর করে রাষ্ট্রের অবশ্যই উচিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করা।
প্যানেল আলোচকরা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জুলাই অভ্যুত্থানে প্রায় ২৩ হাজার ব্যক্তি আহত হয়েছেন এবং ধারণা করা যাচ্ছে এর একটি অংশ স্থায়ীভাবে শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন তাদেরকে বিশেষ প্রজ্ঞাপনের অধীনে এনে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সে রাষ্ট্রের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তালিকা সরকারিভাবে প্রস্তুত করা, আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিবন্ধী সার্টিফেকেট প্রদান করা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন