ডিম ট্রাকে থাকা অবস্থাতেই কারওয়ান বাজারে চারবার হাতবদল হয় বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সমন্বয়ক হাসনাত তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে করা এক স্ট্যাটাসে এ সব কথা বলেন।
দুপুর ২টার দিকে তার করা এ ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো :
ডিম ট্রাকে থাকা অবস্থাতেই কারওয়ান বাজারে চারবার ডিমের হাতবদল হয়। এখনো পর্যন্ত এই সরকার কোনো সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। শুধু সিন্ডিকেটের সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে। সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক মাহাত্ম্য কী?
প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে বছরের ব্যবধানে ডিমের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। কিছু মুনাফালোভীর দৌরাত্ম্যে দাম বেড়েছে খুচরা বাজারেও। এতে সাধারণ ভোক্তার নাগালের বাইরে চলে গেছে ডিমের দাম। দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার শর্তসাপেক্ষে ৭ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। একই সঙ্গে আমদানি করা ডিমের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শর্তসাপেক্ষে গতকাল মঙ্গলবার ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে সীমিত সময়ের জন্য ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর মেসার্স মিম এন্টারপ্রাইজকে এক কোটি পিস, যশোর চৌরাস্তা মোড়ের মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে এক কোটি পিস, সাতক্ষীরার লবশার মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, রংপুরের ভগীর আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর মতিঝিলের হিমালয়কে এক কোটি পিস, শান্তিনগরের মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস এবং তেজকুনিপাড়ার মেসার্স জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন