সার্বজনীন শারদীয় উৎসবে সার্বিক নিরাপত্তা বিধান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে নারীপক্ষ এ দাবি জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৯ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও শ্যামাপূজা। সার্বজনীন এই উৎসবগুলো যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে উদ্যাপন করা যায় এবং দেশে যাতে কোনো রকম ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী কোনো ঘটনা না ঘটে তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছে নারীপক্ষ। এছাড়া প্রতিটি জেলায় একটি দায়িত্বশীল ও কার্যকর পর্যবেক্ষণ দল এবং জেলাভিত্তিক হেল্পলাইন সেবা চালু করা ও তা প্রচারেরও দাবি জানিয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রী শ্রী রমনা কালীমন্দির পরিদর্শনে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পূজামণ্ডপে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। দুর্গাপূজা এবার ভালোভাবে, নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আট দফা নির্দেশনা মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়া দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পর্যাপ্ত সদস্যদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অধিকন্তু এবার কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে যাতে এর তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মাধ্যমে সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, এবার সব পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন কমিটির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবকরা রাত ৩টার পর পূজামণ্ডপ থেকে উধাও হয়ে যায়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এবার কোনো স্বেচ্ছাসেবক কোনো পূজামণ্ডপ ছেড়ে যাবে না, তারা ২৪ ঘণ্টাই দায়িত্বরত থাকবে। তিনি আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করবে এবং তাদের মাধ্যমেই বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতে সুবিধা হবে।
মন্তব্য করুন