বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা এবং তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ নির্দেশ দেয়।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের মতে, কমিশন আইন, ২০০৯-এর ১৭ ধারা অনুযায়ী বাগেরহাটের পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি বাগেরহাটের সিভিল সার্জনকে প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলে, মারধর করার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমীচীন। এ বিষয়ে কমিশন স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।
অভিযোগে বলা রয়েছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে গত ২ অক্টোবর দুপুরে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল তিন চিকিৎসককে মারধর করে। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেনকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের মধ্যে মুফতি কামালের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ওষুধ কোম্পানির কর্মীও রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুরে হঠাৎ করেই ২০ থেকে ২৫ দুর্বৃত্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ে। তারা সেখানে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) চন্দন দাসকে মারধর করে। তাকে রক্ষায় ডা. তনুশ্রী ডাকুয়া ও ডা. রেজোয়ানা মেহজাবিন বন্যা এগিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীরা তাদেরও বেধড়ক মারধর করে।
ডা. রেজোয়ানা মেহজাবিন বন্যা বলেন, মো. শিমুল শেখ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল জরুরি বিভাগে হামলা করে। তারা চন্দন দাসকে বের করে বেধড়ক মারধর করে। ডা. তনুশ্রী ডাকুয়া আর আমি চন্দন দাসকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা আমাদেরও মারধর করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়কে গালাগাল করে। শিমুল শেখের সঙ্গে হামলায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের শাহীন ও একমি ফার্মাসিউটিক্যালসের রাব্বিকে চিনতে পেরেছি।
হাসপাতালের ভেতরে এমন হামলার ঘটনায় চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হামলার বিচার দাবি করেন।
মন্তব্য করুন