সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি বন্ধ চান বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগীরা। তারা বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে এর মধ্যে বড় অংশই অবদান রেখেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওরা। কিন্তু তাদের কোনো স্বীকৃতি মেলেনি। এ ছাড়া কাজ করতে গিরয়ে সরকারি কর্মকর্তা, সংস্থা এবং কখন কখনো সরকারি নীতিমালার কারণে বাঁধাগ্রস্ত হতে হয়। স্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে নেতারা এসব কথা তুলে ধরেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
স্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে বৈঠকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মিলে ৭৮ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ দেন ড. দেবপ্রিয়। এ সময় স্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. সেলিম রায়হানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, যে কোনো কাজের উৎসাহ না দিলে সেই কাজ ভালো হয় না। এনজিওরা উন্নয়নে অনেক অবদান রাখলেও তাদের কোনো স্বীকৃতি ছিল না। ফলে দেশের মানুষও তাদেরও অবদান সম্পর্কে জানতে পারেনি।
প্রতিনিধিরা বলেন, উন্নয়নে বড় অংশীদার হলেও তাদেরও প্রতিনিধিত্ব থাকে না। বর্তমান অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে কষ্টের হার থেকে বাঁচাতে হলে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা জোড়দার করতে হবে। তারা আরও বলেছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরভাবে কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় বাঁধায় পড়ের দুর্নীতির কারণে। সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক বাঁধাও রয়েছে। ডিসি, সরকারি কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী এবং সরকারি ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে।
তারা বলেন, দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে প্রতিবন্ধী, সমতল ও পাহাড়ি, আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, শিশু শ্রম ও বাল্যবিয়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি টাকা লেনদেনের ডিজিটাল পদ্ধতি, ভাতা প্রদান এবং উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সেবা প্রদানে যে দুর্নীতি আছে সেগুলো দূর করতে হবে। এক কথায় সরকারি ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ, কার্যকর ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
মন্তব্য করুন