কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সনি র‌্যাংগসের ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে আটকে যায় দুদকের তদন্ত

সনি র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : কালবেলা
সনি র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : কালবেলা

সনি-র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের ৫০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও সরকারের প্রভাবশালী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উৎকোচ দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালীদের চাপে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তখন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের এ অভিযোগ নিয়ে এখন কাজ করতে ইচ্ছুক দুদক কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, এ বছরের শুরুতে সনি র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে একরাম হোসাইনসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দিয়েছিল দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে গত ২৩ জানুয়ারি ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল। চিঠিটি সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শককে পাঠানো হয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে সনি র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে একরাম হোসাইন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনাস হুসাইন, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জানে আলম ও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। ওই চিঠির সঙ্গে অভিযোগসহ সংশ্লিষ্ট ৫৭ পাতার নথিপত্র যুক্ত করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনার পর সনি র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একরাম হোসাইন ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জানে আলম তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার বাসায় গিয়ে বিপুল পরিমাণে অর্থ উৎকোচ দেন। এরপর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৎকালীন সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়াকে ডেকে অর্থ পাচারের এ ঘটনার ফাইলটি ধামাচাপা দিতে বলেন। মন্ত্রীর কথায় সবকিছু থেমে গেলে স্বরাষ্ট্রসচিব, দুদক ও সিআইডির কর্মকর্তারা র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে একরাম হোসাইনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিভিন্ন হামলা-নির্যাতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করবে ববি ছাত্রদল

বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির আভাস

পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকানিকে পিটিয়ে মারল যুবলীগ কর্মী

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী

সব জাতিগোষ্ঠীর সমঅধিকার নিশ্চিতে কাজ করে বিএনপি : টুকু

লেভানদোভস্কির হ্যাটট্রিকে বার্সার সহজ জয়

সিলেটে যৌথ বাহিনীর অভিযান, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩

হিন্দুদের পাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছায়া হয়ে থাকবে : দুলু

শিল্পাঞ্চলে শান্তি ফেরাতে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : সাইফুল হক

১০

মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করায় বাবার ওপর হামলা

১১

পাহাড়ি ঢলে হারিয়ে গেল ১৬ বাড়ি

১২

আবাসিক হল ছাত্রলীগমুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ

১৩

সিভাসু থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

১৪

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ

১৫

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপি নারায়ণ চন্দ্র আটক

১৬

চট্টগ্রামের রেলওয়ে শ্রমিক দলের সমাবেশ মঙ্গলবার

১৭

হেসে খেলেই টাইগারদের হারিয়ে দিল ভারত

১৮

শিল্পকলায় নবনিযুক্ত পরিচালকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা

১৯

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

২০
X