আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সেজন্য আইন সংস্কারের উদ্যোগও নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তাটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ও প্রবিধানমালার দুর্বলতার কারণে প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এর ভিত্তিতে জরুরি বিবেচনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রবিধানমালা সংশোধনে কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ১৯৮৯ সংস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিষদ পুনর্গঠন, একাডেমির কাজ ও ক্ষমতার গঠনমূলক সংশোধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পী ও শিল্প সমালোচকদের সঙ্গে এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এরই মধ্যে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তা ছাড়া বার্তাটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সবার সহযোগিতায় জনবান্ধব, বহু দল ও মতের অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গবেষণা, চর্চা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে শেকড়ের সন্ধান করবে। বাংলাদেশের শিল্পকলার বৈচিত্র্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়ে যাবে।
এ ছাড়া এতে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের শিল্পকলা চর্চা ও গবেষণার একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা সংবিধিবদ্ধ আইন ও প্রবিধানমালা দ্বারা পরিচালিত হয়। এর সক্রিয় তত্ত্বাবধানে একাডেমি আরও গতিশীলভাবে এগিয়ে যাবে বলে একাডেমি কর্মকর্তা, শিল্পী ও কর্মচারীরা মনে করেন।
এরই মধ্যে মহাপরিচালক ঘোষণা দিয়েছেন, বিগত দিনগুলোতে যেভাবে কার্যক্রম সম্পাদিত হয়েছে তার বিষয়ে আইন ও বিধি অনুসরণ করে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে। সে লক্ষ্যে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কাছে বিশেষ অডিট সম্পন্ন করার জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বার্তাটিতে বলা হয়, সার্বিক তথ্যাদি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া প্রশাসনিক নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ইনভেন্টরির মাধ্যমে কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত যে অর্থ পাওয়া গেছে তা একাডেমি ফান্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি আছে কিনা তা অভ্যন্তরীণ রিভিউ কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই হচ্ছে। যে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হলে আইন ও প্রবিধানমালা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন