বিশিষ্ট লেখক, দার্শনিক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার হাসপাতালে ভর্তি। তিনি বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণার (উবিনিগ) পরিচালক সীমা দাস সিমু গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. শফিকুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ফরহাদ মজহার।
সিমু জানান, চার-পাঁচ দিন ধরে ফরহাদ মজহার জ্বরে ভুগছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকে বেশি অসুস্থ বোধ করায় দুপুরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সীমা দাস সিমু আরও জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরহাদ মজহারের চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ফরহাদ মজহার।
এদিকে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। সেখানে তাতে দেশ গঠনে সবার ইতিবাচক ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছেন এই বুদ্ধিজীবী।
স্ট্যাটাসে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘অনেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চাইছেন। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার উদাহরণ বাংলাদেশে রয়েছে। অতএব আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে বিস্তর যুক্তি দেওয়া সম্ভব। আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার পক্ষে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি রয়েছে। আইন ও রাজনীতি উভয় দিক থেকে সেসব যুক্তি আমাদের বিবেচনা করা দরকার। সেই ক্ষেত্রে ইউরোপে ফ্যাসিস্ট দলগুলো নিষিদ্ধ করার উদাহরণ এবং ইউরোপের অভিজ্ঞতার আলোকে যেমন বিষয়টি আমাদের বিশ্লেষণ করা উচিত, তেমনি স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের ভূমিকা আমাদের অবশ্যই কঠোরভাবে বিচার করে দেখতে হবে। তবে মনে রাখা দরকার, আওয়ামী লীগ একাই শুধু ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেকুলার ও ধর্মীয় নানান ফ্যাসিস্ট প্রবণতা রয়েছে। এদের মোকাবিলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।’
মন্তব্য করুন