রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি তুলে ধরেন।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সব অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
এর আগে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব দাবি তুলে ধরেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের ‘ডিসি নিয়োগে দুইজন সমন্বয়ক জড়িত’ বক্তব্যের জেরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সারজিস আলম।
সারজিস আলম ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আজকে একটি প্রোগ্রামে গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খাঁন বললেন- সমকাল পত্রিকায় নাকি নিউজ হয়েছে দুইজন সমন্বয়ক ডিসি নিয়োগের সাথে জড়িত! নাম সারজিস আর হাসনাত! অলরেডি আওয়ামীলীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নাকি ডিসি নিয়োগের মাধ্যমে শুরু হয়ে গেছে। ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৬ জেলার ডিসি নাকি তারা নিয়োগ দিয়েছে!’
এরপর সারজিস আলম এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ সমকাল পত্রিকায় খুঁজে পাননি। পরবর্তী সময়ে যুগান্তর পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি সংবাদ খুঁজে পান তিনি। তার পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিচয় দিয়ে সচিবালয়ে একটি ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমাদের মতামত না নিয়ে আমাদের নাম উল্লেখ করে এক হলুদ সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করেছেন’।
সম্পূর্ণ মিথ্যা এই সংবাদ কার স্বার্থে করেছে ওই সাংবাদিক ভালো জানেন বলে মন্তব্য করেন এ সমন্বয়ক।
‘সমন্বয়কদের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার পরদিন ওই পত্রিকা দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদ প্রকাশ করে কিন্তু যদিও সেটা মানুষের চোখে পড়েনি। কারণ ওই মানুষগুলো প্রকৃতপক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট’ -বলে উল্লেখ করেন সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন